দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: শেখ হাসিনা নানা ধরনের তাস খেলতে পছন্দ করেন। কখনো জঙ্গি নাটক করেন, কখনো আগুন সন্ত্রাসের কথা বলেন। এ ধরনের কথা বলে তিনি দেশে বিদেশে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চান। আসলে তিনি নিজেই বিভ্রান্ত। তিনি যা বলেন সেটা সত্য না। বরং সরকারের দানবীয় নির্মমতার শিকার হতে হচ্ছে দেশের মানুষকে।
রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুরে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর বাসায় এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন পুলিশের গুলিতে আহত ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর উন্নত চিকিৎসার জন্য জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সভাপতি তারেক রহমানের পক্ষ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের জ্বর উঠে যায় ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি। এ জ্বর সহজে যায় না। এজন্যই নির্বাচনের কথা বললেই তারা পুলিশকে নির্দেশ দেন বিএনপিকে মারধর করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন আমাদের আদালতের বারান্দায় দাঁড়াতে হয়। বিচারকরাও কাজ করছেন শেখ হাসিনার পক্ষে। এর মধ্যেওতো বিএনপি ও সাধারণ মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। এত ত্যাগের পরও গণতন্ত্রের জন্য স্রোতধারাকে রুখতে পারেনি। এ কারণেই টিটুর মতো অনেকে চোখ হারিয়েছে, জীবন দিয়েছে। কিছুদিন আগেও নারায়ণগঞ্জে শাওনকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপিতো কাউকে হত্যা, লুটতরাজ করেনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। এ সরকার এতটাই কাপুরুষ যে আমেরিকা থেকে এক যুবক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে দেশে তার বৃদ্ধা মাকে গ্রেফতার করেছে।
তাই ভিসানীতিতো কায়েম হবেই আপনাদের ওপর। আমরাতো ক্ষমতায় যাওয়ার কথা বলিনি। আমরা চাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। জনগণ যাকে বেছে নেবেন তার পক্ষেই আমরা থাকবো।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফারহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী ও বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
২৯ জুলাই বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে চোখে গুলিবিদ্ধ হন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু। এরইমধ্যে তার একটি চোখ নষ্ট হওয়ার পথে। উন্নত চিকিৎসা করতে ২৮ আগস্ট তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে।