দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে সরকার কে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ আলী ওরফে চাঁদাবাজ জাহেদ আলী।
তার বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স না করার অভিযোগ জমা দিয়েছে ৬ নং ওয়ার্ডের পরিবহন ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান।
অভিযোগকারী হাবিবুর রহমান বলেন – আমি ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার সকল শর্ত পুরন করে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যাই। কিন্তু আমাকে ট্রেড লাইসেন্স না দিয়ে উল্টা চেয়ারম্যান চাঁদা দাবী করে, আমি দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ হতে বের করে দেয়।
এবিষয়ে আমি রুপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছি না।
হাবিব আরো বলেন, ট্রেড লাইসেন্স করলে সরকার রাজস্ব পাবে, সেই রাজস্ব থেকে সরকার কে বঞ্চিত করে জাহেদ আলী তার পকেট ভারী করতে ব্য¯Í। শুধু আমি না কায়েতপাড়া ইউনিয়নের এমন কোন ব্যবসায়ী নেই যার থেকে জাহেদ আলী ট্রেড লাইসেন্স বা নবায়ন করতে মোটা অংকের চাদা আদায় করেননি।
এছাড়া তিনি ( জাহেদ আলী) ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়ায় নাসিরাবাদের নাসিরের নিজস্ব জমিতে তাদের একক সুবিধার জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে সাধারণ জনগনের বাড়িঘর ভেঙে ১২ ফিট রা¯Íা নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে। পরে এলাকাবাসীর চাপের মুখে রা¯Íার কাজ বন্ধ করে দেয়।
এখন পরিষদের বাজেট দিলে কাজ বন্ধ করতে পারবেনা এই আশ্বাস দিয়ে নতুন করে রা¯Íা করার পায়তারা করতেছে।
অপরদিকে একই ওয়ার্ডে সরকারী দক্ষিণ পাড়া গ্রামে খাস জমি জাহেদ আলী ইঁটের দেয়াল দিয়ে ৮ শতাংশ জমি নিজের দখলে নিয়ে আসে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে চেয়ারম্যান জাহেদ আলী বলে এখানে ভুমিহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে কিন্তু জনমনে প্রশ্ন হলো সরকারি খাস উদ্ধার করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা সহকারী ভুমি কমিশনার এসে উদ্ধার করবে – চেয়ারম্যান কিভাবে এটা করে – এটা পরিষদের চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং চেয়ারম্যান যে খাস জমি উদ্ধার করলো তা তিনি সরকারি কোন দপ্তরে চিঠি বা মৌখিক ভাবে জানায়নি।
যদি না জানিয়ে থাকে তাহলে চেয়ারম্যান নিজে সরকারি খাস জমি ভোগ করার জন্য ইটের বাউন্ডারি দিছে নগরপাড়া গ্রামের সালেহ আহমদ কে দিয়ে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মহল জেলা প্রশাসকের হ¯Íক্ষেপ কামনা করেন।