দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: পেশায় শিক্ষক হলেও আচার আচরন যেন ব¯িÍর নিন্মশ্রেনীর মানুষের চেয়েও খারাপ। হ্যাঁ যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে অন্যতম শামসুল হক খান স্কুল এন্ড শিক্ষক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
চাকরি জীবনের মাত্র ১৮ বছরে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এ পর্যন্ত তিনি স্কুল শিক্ষকতা করে গড়ে তুলেছেন তিনটি প্লট ও ৭টি ফ্ল্যাট। এছাড়াও রয়েছে কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। আরেক টি প্লটে তুলছেন বহুতল ভবন। যার পাইলিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় ঢাকার পশ্চিম ডগাইর ভুট্টো এলাকার নুরুল ইসলামের দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম একজন। মাত্র ২০০৬ সালে শামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের মাস্টার রোলের চাকুরী হয়।
তারপরে গণিতের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে । এরপর থেকেই অঢেল সম্পদ গড়ার নেশায় মত্ত হয়ে পড়েন স্কুল শিক্ষক নামধারী সিরাজুল ইসলাম।
তিনি এ পর্যন্ত শিক্ষকতা করে তিনটি প্লট ও সাতটি ফ্ল্যাটের মালিক বনে গেছেন। যা সাধারন মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীর নাম প্রকাশ না করে বলেন, সিরাজুল ইসলাম দেশের স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হলেও তার আচার-আচরণ নিন্ম শ্রেণীর মানুষের মতো। এলাকার কারো সাথে তার ভালো সম্পর্ক নেই। কিছু বললে তার ছোট ভাই ঢাকায় সিআইডিতে চাকরি করেন বলে ভয় দেখান ও হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন।
কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলে বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক হওয়ার রহস্য উদঘাটিত হবে।শিক্ষকতার আড়ালে তিনটে প্লট ও সাতটি ফ্ল্যাটের এবং নগদ কোটি টাকার মালিক হওয়ার রহস্য উদ্ঘাটন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল। বেতনের সাথে তার সম্পদ গড়ার আকাশ পাতাল ব্যবধান রয়েছে। সরকারকে আয়কর দেননা।
জানা যায়,ডগাইর মৌজার দাগ নম্বর ৩৩৯’এ আড়াই কাঠার একটা প্লট রয়েছে যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪৫ লক্ষ টাকা। একই দাগে আরেকটা সোয়া কাঠার প্লট রয়েছে যার বর্তমান বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকা।
দাগ নম্বর ১৪৮৯, সিএস নাম্বার ৩৩০ এস এ ১৬৪ আরএস ২৭, সিটির জরিপ ৩২, খতিয়ান নাম্বার সিএস ২১৩ এস এ ২৮৮ আরেকটি বাদশা মিয়া রোড জমি রয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪৫ লাখ টাকা। এছাড়াও পিতার কাছ থেকে পাওয়া দোতলা বিল্ডিংকে ৬ তলায় রূপান্তরিত করেছেন। এরমধ্যে দোতলা নিজ খরচে নির্মাণ করেছেন এখানেও প্রায় ৫০ লাখ টাকার মত ব্যয় করেছেন। আর সেখান থেকে ফ্লাট পেয়েছেন ৭ টি।
১৮ বছরের ব্যবধানে বিশাল সম্পত্তি ও নগদ অর্থের মালিক বনে যাওয়ায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। তারা জানান নিশ্চয়ই শিক্ষকতার আড়ালে সিরাজুল ইসলামের অবৈধ কোন কাজকর্ম রয়েছে নইলে ১৮ বছরের ব্যবধানে এত সম্পত্তি অর্জন করা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে জানতে সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোন কল দেয়া হলে তিনি অশøীল ভাষায় এ প্রতিবেদক কে গালিগালাজ করেন। যার অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে। তিনি প্রতিবেদক কে বলেন এর আগে আমাকে ফোন দিয়েছো। পাঁচ লাখ টাকা নেওয়ার কথা ছিল, প্রতিবেদক জবাবে বলেন, আমি আপনার সাথে এই প্রথম কথা বলছি এর আগে কখনো কথা হয়নি। এ কথা শোনার পরে অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং তার ছোট ভাই ঢাকায় সিআইডিতে কর্মরত তাকে দিয়ে শায়ে¯Íাা করার হুমকি দেন।
পরে গালাগাল শুনে প্রতিবেদক নিজেই মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এলাকাবাসীর দাবি সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সুষ্ঠু তদন্ত করলে ১৮ বছরের ব্যবধানে এত সম্পদের মালিক হবার রহস্য উৎঘাটিত হবে।
সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) মোঃ সোহরার হোসেন মুঠোফোনে বলেন,সিরাজুল ইসলাম নামে গনিতের একজন শিক্ষক রয়েছেন। আপনি কিছু লিইখেন না। স্কুলে আসেন বসে সমস্যার সমাধান করে দিব।
এলাকাবাসীর দাবি যেন সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।