দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সোনারগাঁয়ের দড়িকান্দী মসজিদের মিসকেইসের প্রতিবেদন দিতে বড় অংকের ঘুষ দাবী, প্রতারনা ও জালিয়াতি কাগজ তৈরী, শুধুমাত্র ঘুষ নিতে লোক নিয়োগ ও বড় অংকের ঘুষ নিয়ে সরকারি নথি থেকে দলিল গায়েব করে প্রমান লোপাট, ঘুষের জন্য দীর্ঘদিন হয়রানী এবং শুনানী না করে আদেশ প্রদানসহ একাধিক অভিযোগে সোনারগাঁও ভূমি অফিসের সাবেক সার্ভেয়ার নুরে আলম,
সাবেক সনমান্দী ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র এবং সাবেক সার্ভেয়ার নুরে আলমের শ্যালক ও ঘুষ গ্রহন করতে নিয়োগপ্রাপ্ত ওমেদার ইমরান হোসেন, সোনাবান বিবি, আব্দুল আউয়াল ও খলিলের বিরুদ্ধে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৫ নং আদালতে মামলা করেন সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউপির দড়িকান্দি জামে মসজিদের পক্ষে আবুল কালাম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি নারায়ণগঞ্জ কে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে সিআইডির উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন তদন্ত কে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। গত রবিবার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সোনাবান বিবি, আব্দুল আউয়াল ও খলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং সাবেক সার্ভেয়ার নুরে আলম,
সাবেক সনমান্দী ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র এবং সাবেক সার্ভেয়ার নুরে আলমের শ্যালক ও ঘুষ গ্রহন করতে নিয়োগপ্রাপ্ত ওমেদার ইমরান হোসেনকে সমন দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসাদ বেগম । যাহার পিটিশন মামলা নং-৪২৩/২২। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার শাকিল আহম্মেদ।
এ বিষয়ে মামলার বাদী দড়িকান্দি জামে মসজিদের পক্ষে আবুল কালাম বলেন, অবশেষে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার পেলাম। আশা করি,সকল আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্হা করা হবে। ইতিমধ্যে আসামিরা এবং তাদের প্রভাবশালী আত্মীয় স্বজন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্হা নেয়া হোক।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, যেহেতু এই মামলায় তিনজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম তদন্তে উঠে এসেছে এবং বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তাই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা উচিৎ। যাতে সরকারি পদ পদবি ব্যবহার করে মামলায় প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।