দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জে জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় শিক্ষক দম্পতিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় মা-বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে এইচএসসি শিক্ষার্থী তোয়া আক্তারকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সন্ত্রাসীরা পুনরায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে হামলা চালায়।
জানা গেছে, জমির বিরোধের জের ধরে গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার পিতলগঞ্জ এলাকার আতাব উদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে সন্ত্রাসী আলমগীর হোসেন (৪০), তার স্ত্রী কবিতা আক্তার (৩৫), সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন (২৫)সহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫জন হাজী রফিজউদ্দিন ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুজ্জামানের (৫৩) উপর হামলা চালায়।
এ সময় সন্ত্রাসীরা লোহার রড, ছুরি ও হকিস্টিক নিয়ে আক্রমন করে। তখন কামরুজ্জামানের স্ত্রী ও হাজী রফিজউদ্দিন ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার শিক্ষিকা রোকেয়া বেগম (৪০) এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। মা-বাবার চিৎকারে শিক্ষক দম্পতির মেয়ে এইচএসসি শিক্ষার্থী তোয়া আক্তার (১৮) এগিয়ে গেলে তাকেও রাস্তায় টানা হেচঁড়া ও মারধর করে।
হামলায় আহত শিক্ষক কামরুজ্জামান জানান, তিনি বাড়িতে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। তিন তলা ভবনের ছাদের রড কিনতে বাড়ি থেকে বের হলে পূর্ব বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী আলমগীরসহ তার সহযোগিরা তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে সাথে থাকা ৩ লাখ টাকা, দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা দলবদ্ধ হয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ঘটনার পর রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সন্ত্রাসীরা পুনরায় বাড়িতে হামলা চালালেও আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর কোনো সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।