দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মাঝিনা এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ওমর ফারুক মেম্বার,গুজা রাসেল বাহিনীর হামলায় আহত হওয়ার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও অযোগ্য, অর্থলোভী, এসআই মতিউর রহমান দেড় মাসও কোন আসামী গ্রেফতার করতে না পারায় সাংবাদিক সমাজের মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র ও উত্তেজনা ।
জানা যায়, গত ২২ মার্চ শুক্রবার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মাঝিনা নদীর পাড় এলাকায় আবাসন প্রতিষ্ঠান ওয়েল কেয়ার এর বিরুদ্ধে স্থানীয় জমির মালিক, কৃষকরা অবৈধভাবে জমি দখল করে বালু ভরাট করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
সংবাদ পেয়ে জাগো নারায়ণগঞ্জ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিশেষ প্রতিনিধি গাফফার হোসেন ওরফে মোহাম্মদ লিটন হোসেন মানববন্ধন কর্মসূচির ভিডিও ধারণ করতে গেলে ওমর ফারুক ও গুজার রাসেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লিটনের উপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে পিঠের পিছনে সুইচ গিয়ার গিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। চোখে ও কপালে কিলঘুষি মেরে নীলাফুলা জখম করে।
লিটনকে উদ্ধার করে প্রাথমিক অবস্থায় রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নেওয়া হলে কর্তব্য চিকিৎসক আশঙ্কাজনক হওয়ায় লিটনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় লিটন আদালতের নির্দেশে রুপগঞ্জ থানায় ওমর ফারুক মেম্বারকে প্রধান আসামি, গুজা রাসেল কে দ্বিতীয় আসামী করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে রুপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হলেও দেড়মাসেও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মতিউর রহমান সহ রুপগঞ্জ থানা পুলিশ আজও পর্যন্ত আসামিদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে গ্রেফতার করেনি।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অর্থলোভী, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারদাতা, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মতিউর রহমান আগে চানপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি কেন্দ্রের ইনচার্জ ছিলেন। ২ মাস আগে তাকে সেখান থেকে বদলী করে রুপগঞ্জ থানায় নেয়া হয়। এর আগে চনপাড়া পুলিশ ফাড়ি কেন্দ্রের ইনচার্জ থাকা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন। কিন্তু ধান্দাবাজ মতিউর রহমান রুপগঞ্জ থানার ওসি ও এসপি অফিস ম্যানেজ করে চলতি মাসের ১ তারিখে আবার চানপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ হয়ে চলে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, চনপাড়া হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার অপরাধীদের সাম্রাজ্য। এখানে মাদক ব্যবসা, নারী ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, অশ্লীল পর্ন নির্মাণ সহ এমন কোন কাজ নেই যা চনপাড়া বস্তিতে হয়না।
এসআই মতিউর রহমান অবৈধ পন্থায় বিশাল অর্থ সম্পদের মালিক হবার নেশায় আবার চনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি কেন্দ্রে চলতি মাসের এক তারিখ বদলী হয়ে আসার পর আবার চনপাড়া বস্তি মাদকের জোয়ারে ভাসছে।
অথচ আসামিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে মতিউর রহমান সাংবাদিক লিটনের মামলার আসামি ওমর ফারুক মেম্বার, গুজা রাসেলসহ ১৮ জন আসামীর কাউকে গ্রেফতার করেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( অপরাধ অপারেশন) চাইলাই মারমার সাথে সাংবাদিকরা সাক্ষাৎ করে আসামি গ্রেফতারের করার অনুরোধ জানালে তাৎক্ষনিক তিনি এসআই মতিউরকে মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করে সে সময়।
মামলার বাদী সাংবাদিক লিটন হোসেন পুলিশের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আগামী ৭মের মধ্যে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করলে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ব্যর্থতা ও অপরাধীদের সাথে আতাতের বিষয়টি তুলে ধরবো।
এসআই মতিউর রহমান রহস্যজনক কারনে আসামী গ্রেফতার না করায় সাংবাদিক সমাজ পুলিশের উপর ক্ষুদ্ধ। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মতিউর রহমান মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।