দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট যেন জনদুর্ভোগের অন্যতম কারন, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে সংসদ সদস্য, মেয়র ও জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের কর্মকর্তারা একত্রে বসে নিচ্ছেন নানা সিদ্ধান্ত।
এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছুদিন যাবৎ হকার উচ্ছেদ অভিযান চলছে বেশ জোড়ে সোড়ে, তবুও জনদুর্ভোগের অন্যতম কারন যানজট যেন নগরবাসীর পিছু ছাড়ছে না।
একদিকে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও এই দুর্ভোগ এড়াতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। আর তাদের দায়িত্ব পালনে কোন কার্পন্যতা না করায় সারা দেশে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।
জেলার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আর ট্রাফিক পুলিশের নিরলস প্ররিশ্রমে পানি ঢালতেই কিছু কুচক্রিমহল বড় ভাইদের আর্শিবাদে অবৈধ ষ্ট্যান্ডের নামে নির্ভয়ে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজী।
লক্ষ্য করে দেখা যায়, নগরীর প্রাণ কেন্দ্রী চাষাড়াতেই এই অবৈধ ষ্ট্যান্ডের সয়লাব বেশি। চাষাড়া মহিলা কলেজ থেকে শুরু করে রাইফেল ক্লাব সংলগ্ন এলাকা, জিয়া হল, খাঁজা সুপার মার্কেট, সোনালী ব্যাংক ও চাষাড়া শহীদ মিনারের দুই পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে সিএনজি, অটোরিক্সা ও লেগুনা ষ্ট্যান্ড। যেখানে প্রধান সড়কের উপরে দাঁড়িয়ে ঐসকল অবৈধ ষ্টান্ডের চালকরা যাত্রীদের গাড়িতে তুলছেন।
ফলে রাস্তার উপরে গাড়ি থামিয়ে রাখার কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যা কিনা শহরের প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য প্রধান সড়ক হিসেবে বিবেচিত। সেখানেই প্রকাশ্যে ডাকঢোল পিটিয়ে কিছু প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কথিত নামধারী বড় ভাইদের শেল্টারের চলছে চাঁদাবাজীর মহোৎসব।
ফলে নগরীর প্রধান সড়কে এই ভাবে গড়ে উঠা অবৈধ ষ্ট্যান্ডের গাড়ী রাখার কারনে প্রতিনিয়তই যানজটের কবলে পড়ছে নগরবাসী। আর জেলার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আর ট্রাফিক পুলিশের নিরলস প্ররিশ্রমে ভাটা পড়তে দেখা যাচ্ছে।
এই সকল চাঁদাবাজ ও অবৈধ ষ্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জনদুর্ভোগের সমাধান আসবে না বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
এবিষয়ে একাধিকবার ফোনে ট্রাফিক পুলিশের টিআই ইমরান বলেন, এখানে কোন ষ্ট্যান্ড নাই ওরা শুধু যাত্রী নিয়ে আসে আবার নামিয়ে চলে যায়। রাস্তার উপরে কোন গাড়ী রাখে না ওরা রেলওয়ের জায়গার মধ্যে গাড়ি রাখে। তাছাড়া সিএনজি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জেও চলছে। এখন আপনারা মেয়র ও জেলা প্রশাসককে বলেন সিএনজির পারমিশন বাতিল করে দিতে তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।