দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন মিরনজিল্লা এলাকায় ৪০০ বছরের পুরোনো মিরনজিল্লা কলোনী উচ্ছেদের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।
শনিবার ( ২২ জুন ) বিকেল সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নিচে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অমৃত লালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো.হাফিজুর রহমান হাফিজ,
বাংলাদেশ ডোম সমাজ উন্নয়ন কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ঈশ^ল লাল, তুলসী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা টনি সনাতন, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ ফতুল্লা থানা কমিটির সভাপতি স্বপন ডোম প্রমুখ।
বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো.হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন,ভারত বর্ষ থেকেই তাদের আমন্ত্রনেই এ হরিজনরা বাংলাদেশে আসেন সরকার প্রধানের মাধ্যমে। কিন্তু দেশের সকল মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা হলেও এ হরিজন সম্প্রদায়ের কোন আবাসনের ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। হরিজন সম্প্রদায়রা কখনও কোন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি।
তাদেরকে এভাবে উচ্ছেদের নামে ঘরছাড়া করার কোন মানে হয়না। আমরা সরকার প্রধানকে অনুরোধ করবো তাদের পরিবারের কথা বিবেচনা করেই উচ্ছেদকৃত সকল হরিজনকে পুর্নবহাল করা হোক। তিনি আরও বলেন,দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হলো বাসস্থান। কিন্তু সরকার বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্নস্থানে নোটিশ ও বিনা নোটিশের মাধ্যমেই সাধারন মানুষকে অহেতুক উচ্ছেদ করে থাকে তা কারোর কাছে গ্রহনযোগ্য নয়।
আমি হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিটি নেতাকর্মীদেরকে বলবো,আপনাদেও অধিকার আদায়ের জন্য প্রয়োজনে আপনারা কর্মবিরতির ডাক দেন তাহলেই দেখবেন সরকার প্রধানের টনক নড়বে।
বাংলাদেশ ডোম সমাজ উন্নয়ন কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ঈশ^র লাল বলেন,আমরা কি এ দেশের নাগরিক না ? যদি নাগরিক হয়ে থাকি তাহলে কেন আমাদেরকে বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করা হলো। রোহিঙ্গাদের জন্য পাকা বাসস্থানসহ খাবারের আয়োজন করে বিনামুল্যে অথচ আমরা এ দেশের নাগরিকরা বাসস্থান পাইনা। উল্টো আমাদেরকে পরিবার-পরিজনসহ উচ্ছেদ করে রাস্তায় নামিয়েছে।
আমরা এ সমস্যা সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছি আমাদেরকে পুর্নবাসন করার জন্য। সেই চিঠির জবাব এখনও পর্যন্ত পাই নাই। তিনি আরও বলেন,মেয়র মহোদয় আমাদেরকে শান্তনা দিচ্ছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত উচ্ছেদকৃত পরিবারগুলো কাছে আসেননি। আবার তিনি চেয়ারে বসে তার কর্মকর্তাদেরকে বলছেন মিরনজিল্লা কলোনীর সবাইকে উচ্ছেদ করতে।
তিনি আরও বলেন,নির্বাচনের সময় এমপি,মেয়র,চেয়ারম্যান,মেম্বাররা সবাই আসেন ভোটের জন্য। আর ভোট শেষ হলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়না। আমি সরকার প্রধানের কাছে অনুরোধ করবো অতিদ্রুত যেন মিরনজিল্লা কলোনী উচ্ছেদের পরিবর্তে সেখানে বসবাসরত প্রতিটি হরিজন পরিবারকে পুর্নবহাল করা হোক।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রতাপ লাল,টানবাজার সিটি কলোনী পঞ্চায়েত কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সাতগ্রাম ডোম সমাজ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সাধারন সম্পাদকবৃন্দ।