দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর দেশে সহিংসতা বন্ধে ছাত্র-জনতার ও সেনাবাহিনী, বিজিপির ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার পর বিভিন্ন থানায় আসতে শুরু করেছে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্যরা।
তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন থানা ও সরকারী দপ্তর গুলোতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন সহিংসতা এড়াতে।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১১ আগষ্ট) বাদ মাগরিব নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ শহিদুল ইসলাম এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন।
এসময়ে নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ শহিদুল ইসলামকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এসময়ে মনোয়ার হোসেন শোখন বলেন, আপনারা আমাদের জীবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে সব সময় নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর দেশে চলমান সহিংসতা লুট, ভাংচুর সরকারী দপ্তর ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে একটি মহল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। যা একটি স্বাধীন দেশের মানুষ হিসেবে কেউ আশা করে না।
এদেশের পুলিশ প্রশাসন আমাদের সম্পদ তাদের রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সকল সহিংসতা বন্ধে আমরা প্রশাসনের পাশে আছি, এখন আপনাদের সহযোগীতা আমাদের একান্ত কাম্য।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ শহিদুল ইসলাম বলেন, আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে সহযোগীতার হাত ভাড়িয়ে দেয়ার জন্য। আমরা সব সময় দেশের মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দায়িত্ব পালন করি। দেশের মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে প্রশাসনের পাশাপাশি আমজনতাও এগিয়ে আসছে। আমরা এই ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহিংসতা বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালে অচিরেই দেশে শান্তি পতিষ্ঠা হবে।
এসময়ে মনোয়ার হোসেন শোখনের নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা জামাল হোসেন, আব্দুল জলিল, বিল্লাল হোসেন, বাপ্পী মিয়া, তৈয়ব আকন, কবির হোসেন, আক্তার হোসেন, সেলিম মিয়া, শাওন, নুর মুহাম্মদ, কাউছার আহম্মেদ, শহিদ মিয়া, বাবু, মানিক মিয়া, ফিরোজ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, আলিম আজিজ, রাশেল, আলী সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।