দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান- ০১ আকিলউদ্দিন সিকদার বলেছেন, পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল নির্বাচন করা ক্ষমতা কারো নেই।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলামের সাথে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও সচেতন এলাকাবাসী সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তারা বলেছিলেন, পুরনো প্যানেল চেয়ারম্যান ভেঙ্গে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান করার এখতিয়ার নেই। প্রয়োজনে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে।
কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মৌরিন করিম মহোদয় কিসের ভিত্তিতে পুরনো প্যানেল ভেঙ্গে নতুন প্যানেল করার জন্য ভোটাভুটি করেন তা আমার বোধগম্য নয়।
আকিল উদ্দিন মেম্বার আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার ফতুল্লা থানা বিএনপির কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় জনগণ বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য ডিসি এবং ইউএনও মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
কিন্তু একটি চক্র চাচ্ছে আব্দুর রশিদ মেম্বারকে প্যানেল চেয়ারম্যান এক মনোনীত করে পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, উপপরিচালক মৌরিন করিম কিসের ভিত্তিতে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করার লক্ষ্যে মেম্বারদের নিয়ে ভোটাভুটি করেন। যা আইন বিরোধী।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রয়োজনে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে কিন্তু পুরনো প্যানেল চেয়ারম্যান ভেঙ্গে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান করার এখতিয়ার নেই। রশিদ মেম্বার মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে মেম্বারদের তার পক্ষে নিয়ে এই নতুন নাটক সাজিয়েছে।যা করা হলে আইনসিদ্ধ হবেনা। স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মৌরিন করিম মহোদয় যদি নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আকিল উদ্দিন মেম্বার।