দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চাঞ্চল্যকর মেরাজ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি পিংকি প্রকাশ্যে বিএনপির মিটিং মিছিল নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। পিংকি বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ নেতৃত্বে প্রকাশ্যে থানার সামনেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত (৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার সকালে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিটুর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও বন্দর থানা ঘেরাও কর্মসূচি অনুষ্ঠানে সামনের সারিতে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন হত্যা মামলার আসামি পিংকি। এতে সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা মন্তব্য করে বলেন, বন্দর রূপালীতে মেরাজকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার বন্ধু আলআমিনকে কুপিয়ে আহত করে তারা। এ ঘটনায় নিহত মেরাজের মা নাসরিন বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মিয়া, রাজু, পিংকী, বাবু মানিকসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। পিংকি দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর শাহেন শাহ নেতৃত্বে হত্যা মামলার আসামি এভাবে প্রকাশ্যে মিছিলে অংশগ্রহণ করাটা মোটি উচিত হয়নি। এতে আরো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। এছাড়াও প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয়রা।
নিহত মেরাজের মা নাসরিন বেগম জানান, তার ছেলে মেরাজকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসামিরা। সেই সঙ্গে পিংকিও এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। সরকার পতনের পর জামিন ছাড়াই আবারও এলাকায় প্রকাশ্যে মিটিং মিছিল করে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে রিতিমত। গত সপ্তাহে তার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে মামলার নথিপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এখন এই পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালে ৩ এপ্রিল রূপালী এলাকায় আয়মান ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্কশপে প্রকাশ্যে মেরাজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় তার বন্ধু আল আমিনকেও কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মিয়া, রাজু, পিংকী, বাবু মানিকসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।