দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল্লাহ শফির বাড়িতে হামলা-ভাংচুর চালিয়ে মালপত্র লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। এরপর বাড়িটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভাড়াটিয়াদের বের করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ফতুল্লায় মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শফিউল্লাহ শফির ছেলে খায়ের উল্লাহ সনম। এতে উল্লেখ্য করা হয় তার বাবা আওয়ামী লীগের সমর্থন করায় স্থানীয় বিএনপি নেতারা এ হুমকি দিয়েছে। যদিও বিএনপির নেতারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগে খায়ের উল্লাহ সনম জানায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডলের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি নেতা রোমান- রনিসহ তাদের সহযোগিতরা বাড়িতে যায়। এসময় বাড়িটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা।
এর আগে গত ৬ আগষ্ট শফিউল্লাহ শফির এই বাড়িসহ আরো একটি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। এসময় বাড়ির এক তলা থেকে তিনতলা ভেতরে থাকা মালপত্র লুটে নেয়। লুটকারীরা ঘরের দরজা-জানালাসহ প্রতিটি তলায় ভাংচুর চালায়। ফতুল্লা থানায় দায়ের করা অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা বাড়িটির মালিক শফিউল্লাহ সহ তার ভাড়াটিয়াদের সাড়ে ৭ ভড়ি স্বর্নালংকার ও ঘরের আলমিরাতে রক্ষিত সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনের বেতনের জন্য রাখা ৪২ হাজার টাকা ছাড়াও আরো প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মালপত্র লুটসহ ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে খায়ের উল্লাহ সনম বলেন, প্রথম দফায় হামলা-লুটপাট ও ভাংচুরের পর দ্বিতীয় দফায় আমাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পায়তারা চলছে। যেকোন সময় হামলাকারীরা বাড়িটিতে আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে, এ জন্য বার-বার তারা হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে বাড়িটিতে থাকা অনিরাপদ হয়ে পরেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানায় যারা আগুন দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ও বাড়িতে হামলা করছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল। তিনি জানান, বিএনপি নেতার লোকজন নয় দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে হামলা করেছে। আর আগুন দেওয়ার হুমকির বিষয়টি তার জানা নেই বলে দাবি করেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে চানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে যারাই এ সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।