দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বুধবার বিকাল ৫টায় সিটি এলাকার বন্দর নবীগঞ্জ কবিলা মোড়ে দেখা ধামগড় ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী ৫২ বছরের সাইদুল ইসলামের। ১৫/১৬ জন এসেছেন অটোরিক্সাযোগে বিএনপির সাবেক এমপি আবুল কালামের সাথে দেখা করতে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা কারণে যোগাযোগ করতে পারেননি তারা। ভাড়া দিয়ে আবুল কালামের অফিস রুমে প্রবেশ করতে কিছুটা ঠেলাঠেলি। এর আগেই ভিতরে মদনপুর থেকে আগত সমর্থকদের সাথে আলাপচারিতা ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম।
ওই সময়ে প্রবেশ গেইটে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আওলাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম মিঠু-কেু দেখতে পেরে ভিতরে আসার সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ করেন আবুল কালাম নিজেই। এরই উপস্থিত একাধিক মুরব্বীরা আগামী নির্বাচনে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আবুল কালামের উদ্দেশ্যে জোরালো স্লোগান দেয়া শুরু করে। এতেই অফিসের রুমের ভিতরে ও বাহিরে বন্দরের ওয়ার্ড ইউনিয়ন থেকে শত শত বিএনপি নেতা-কর্মীরা করতালি দিয়ে স্লোগানে সমর্থন দেন।
এসময় আবুল কালাম হাত নেড়ে চেয়ারে বসেই বলেন, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি মনে করেন আমাকে দিয়ে নির্বাচন করাবেন, তাহলে আমি প্রস্তুত আছি। দল যদি এখানে আমাকে বিএনপি প্রার্থী করে আপনাদের নিয়ে মাঠে নামবো। আপনারা আমার শক্তি, জনগণের কাছে আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির হাতে বন্দর উন্নয়নে বঞ্চিত হয়েছে।
নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য জনগণের ভোটও তাদের লাগেনি। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সদর বন্দর আসনে তিনবারের সাবেক সংসদ এডভোকেট আবুল কালাম-এর নবীগঞ্জের বাসভবনে গত ১৩ অক্টোবর থেকে বন্দর উপজেলা ও থানার ওয়ার্ড নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতার উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আওলাদ হোসেন জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীরা এখনো তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ভুলে যায়নি। শহীদ জিয়ার আদর্শ ও বেগম খালেদা জিয়ার নিদের্শে মহানগর বিএনপি দায়িত্ব পালন করেছেন আবুল কালাম। তিনি তিনবারের এমপি হলেও কখনো ক্ষমতার দাপট দেখায় নাই। তিন দিন ধরে তিনি বন্দরে অফিস করছেন, আজকে জনতা ও সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় দেখে মুগ্ধ হলাম। মনে হলো, একজন এমপির অফিসে প্রবেশ করছি।
টাকা পয়সা ক্ষমতা দিয়ে হাজারে মানুষদের কারো অফিসে নেয়া যায়নি। আর এখানে আবুল কালামকে নির্বাচনে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ইউনিয়ন, ওয়ার্ড-এর নেতা-কর্মী সহ সাধারণ মানুষ স্লোগান দিতে দেখলাম। আজকে এখানকার দৃর্শ্য দেখে বিএনপি এখনো জনগণের মনে ভিতরে আছে, তার বাস্তব প্রমাণ পেলাম।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম মিঠু জানান, বন্দরে এসেছিলাম আবুল কালাম সাহেবের অফিস দেখতে। রিক্সা থেকে নেমেই অফিসমুখ পর্যন্ত শত শত মানুষের ভিড়। মনে করেছিলাম, আবুল কালাম মনে হয় অফিসে বসে নাই। কোনমতে ভিতরে ঢুকে দেখি, তিনি মদনপুর ও ধামগড় ইউনিয়নে আগত নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপচারিতায় ব্যস্ত।
মনে পড়ে গেলো ২০০১ সালের চারদলীয় জোট সরকারের আমলের কথা। আবুল কালাম সাহেব নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছেন এমনতা তিনি জানিয়েছেন। দল যদি তাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে তিনি সকলকে নিয়ে মাঠে নামবেন। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে কোন ভেদাভেদ নেই। সামান্য মনোমাল্য রয়েছে, সেটা এক টেবিলে বসে সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন।