দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ মাওলানা স্বাদ সাহেব বাংলাদেশে আসলে সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তাবলীগের মধ্যে যারা বিভ্রান্ত ছড়িয়ে দুটি অংশ তৈরী করে বিবাধ সৃষ্টি করেছে, তারা পরাজিত হবে। তাই তৃতীয় পক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেটি হতে দিতে চাচ্ছে না।
কারণ এটি হলে তাদের স্বার্থ হাসিল হবে না। কিন্তু তাবলীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, দাওয়াতে তাবলীগ একমাত্র আল্লাহ ও রাসূলের কাজে নিয়োজিত। সোমবার ২রা ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে উল্লেখিত কথা বলেন মাওলানা স্বাদ কান্দলবী অনুসারী বক্তারা।
এরআগে সকাল ১০টায় আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে সড়কে হেঁটে অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে নারায়ণগঞ্জ তাবলীগ জামাতের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি আবেদনপত্র প্রদান করেছেন মাওলানা স্বাদ কান্দলবীর অনুসারীরা। শহরের চাষাড়া থেকে হাজার হাজার অনুসারীরা জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে এসে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের কাছে দুটি দাবি উল্লেখ করে আবেদনপত্রটি হস্তান্তর করেন।
সেই দাবি দুইটি হলো : মাওলানা স্বাদ সাহেবকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিয়ে পুর্বের মত ইজতেমা, জোড়সহ যেখানে প্রয়োজন বয়ান করতে দেয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করতে দেয়া। অপরটি হলো তাবলীগের অপর অংশ জুবায়ের অনুসারীরা যেন স্বাদ অনুসারীদের উপর জুলুম, ময়দান দখল, হামলা, মসজিদ থেকে বের করে দেয়া, আমলে বাধা সৃষ্টি করা ও বাপ ছেলেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না করে তার জন্য প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানান।
এসময় বক্তারা বলেন, মাওলানা স্বাদ কান্দলবীকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করে সাধারণ মুসুল্লিদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। স্বাদ সাহেব বাংলাদেশে আসলে সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তবে তৃতীয় পক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেটি চাচ্ছে না। স্বাদ সাহেব সারা বিশ্বে যাচ্ছেন, বয়ান করছেন। কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিভাজন সৃষ্টি করে তাবলীগকে দ্বিখন্ডিত রূপে নেয়ার পায়তারা করছে। কিন্তু আমরা ভাই ভাই স্বাদ সাহেবের অনুসারী কখনো মারামারিতে জড়াই না। আমাদের উপর বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনদের সাথে নিয়ে হামলা ও অপপ্রচার চালানো হয়। আমাদের দোষ আমরা কোনো রাজনৈতিক ব্যানারে কেনো আসি না। কোনো সংগঠনের সাথে জোট করি না। কিন্তু তাবলীগের তো এগুলি কাজ নয়। আমরা ঈমান কিভাবে মজবুত হবে আখিরাতের জন্য ব্যস্ত।
বক্তারা আরো বলেন, তারা মাওলানা স্বাদ কান্দলবীর বিরুদ্ধে যেসকল মিথ্যা প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে তার কোনো প্রমাণিক দলিল দেখাতে পারে না। এমনকি খন্ড খন্ড বক্তব্যকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালায়। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই দীর্ঘ ৭ বছর ধরে আমরা বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আছি। আমরা চাই স্বাদ সাহেব দামাত বারকাতু কে দেশে আসতে দেয়া হোক। যার যার মত সকলেই আমল করি কেউ যেন কারো আমলে বাধা সৃষ্টি করতে না আসে। জোবায়ের সাহেবের অনুসারীরা মাদ্রাসার ছাত্রদেরকেও ব্যবহার করছে। এমনকি আমাদের সন্তান যারা মাদ্রাসায় পড়ে তাদের কান ওয়াস করছে। যে কারণে পিতা-পুত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এসবের অবসান চাই। সারাদেশে স্বাদ সাহেব যাচ্ছেন, বয়ান করছেন। কোথাও সমস্যা না হলে বাংলাদেশে কেনো হবে? দ্রুত মাওলানা স্বাদ সাহেবকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেয়া হোক এটাই সকলের দাবি।
নিজামুদ্দিন বিশ্ব মার্কাজের অনুসারী তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের মূলধারার সাথীদের পক্ষে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মোতাহার হোসেন, মোহাম্মদ মোফাজ্জল হক, আবু তাহের, স্বাদ অনুসারী আসাদুজ্জামান আসাদ, মাওলানা শফিউল্লাহ, ফয়সাল, মাওলানা সোহাইল, জালাল উদ্দিন রাসেল, আশরাফ হাসান রুবেলসহ হাজারো অনুসারীগণ।
পরে জেলা প্রশাসক অফিসের কার্যক্রম শেষে জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যূষ কুমার মজুমদারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং নারায়ণগঞ্জ সেনাবাহিনী দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়কের মাধ্যমে সেনা প্রধানের কাছে আবেদনপত্রটির অনুলিপি প্রদান করেছেন স্বাদ অনুসারীরা।