দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সিয়াম (১৮) নামে এক পোশাক শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ফতুল্লার শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দয়ের করেন।
নিহত সিয়াম ফতুল্লা থানার পিলকুনী পাচতলা বরিশাল টাওয়ার সংলগ্ন এলাকার আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে। তিনি একটি হোসিয়ারী কারখানার পোশাক শ্রমিক ছিল।
নিহতের স্বজনদের দাবি, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুলের ভাগিনা সায়মন তার কিশোর বাহিনীকে নিয়ে সিয়ামকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ওরফে ধোপা নজরুলের ভাগিনা সায়মনের নেতৃত্বে একদল কিশোর পিলকুনী পাঁচ তলার সামনে থেকে সিয়ামকে অটোরিকশাযোগে তক্কার মাঠ মসজিদ সংলগ্ন খানকা মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সিয়ামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা এবং পুনরায় রিকশাযোগে পিলকুনী পাঁচ তলার সামনে সিয়াম কে ফেলে দিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় নিহতের বাবা মো. হালিম খান বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিএনপির নেতার ভাগিনা সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসমি করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে সায়মনের নেতৃত্বে তার সহযোগি আল আমিন, নিলয়, সোনাই ওরফে আব্দুল্লাহ, মেহেদী, পারভেজ, আদর, একরাম, মহিউদ্দিন,
সাগর সহ আরও ১০-১২ জন মিলে আমার ছেলে ও তার বন্ধুদের (সোবহান (২০) ও মিলন (১৮)) ওপরে মামলা করে ও মারধর করেছে। এ সময় তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করেছে। এক পর্যায়ে আসামিরা ফের আমার ছেলেকে টেনে হিচড়ে বালুর মাঠের পূর্ব পাশে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপযুপরী আঘাত করে ও মারধর করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পূর্ববিরোধের জের ধরে একদল কিশোর এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি । এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।