দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা বলেন, তারা বলেছিলেন নিরাপদ থাকতে হলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা জরুরী, নইলে এ দেশ জঙ্গীবাদের রাষ্ট্রে পরিণত হবে। একদিনে আওয়ামী লীগের ৫ লক্ষ লোককে মেরে ফেলবে বলেও তারা বলেছিলেন। অথচ মাত্র ৪৫ মনিটের আল্টিমেটামে দেশ ছেড়ে তিনি ও তার দোসররা পালিয়ে গেছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) বিকেলে বন্দর চুনাভুড়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন ইব্রাহিম।
আবুল কাউছার আশা আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচাইতে নির্যাতিত দল বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যন্ত ধৈর্য্য ধারন করে তাদেরকে ভুল প্রমান করেছে। আমাদের উপর যে জুলুম, অত্যাচার হয়েছে এতে করে তারা অনেক কিছুই পাওনা হয়েছে। পাওনা পরিশোধ হয় নি, তাই বলে এই না যে পাওনা পরিশোধ হবে না। এখনো ইনিয় বিনিয়ে অনেক কথা বলেন আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা।
এলাকায় থাকতে দেওয়া হয়েছে ভালোভাবে থাকেন। এখনো অনেক কিছু করেন, কখনো আনসার, কখনো চোর, কখনো রিকসাওয়ালার বেশে চলে আসেন। তবে যতই মুখোশ বদল করে চলেন না কেনো যখন বাংলাদেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা যখন লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে আসে তখন আর মুখোশধারীদের কোন অবস্থান থাকেনা। যারা অনলাইনে দেখছেন বা শুনছেন তাদের বলবো কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে মাফ চান, মানুষের কাছে মাফ চান।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তার রাজনীতি করার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। তারা শাপলা চত্বরে আলেমদের হত্যা করেছে, ডান্ডাবেড়ি পরিয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কত মানুষ নিহত হয়েছে কিন্তু ক্ষমা চায় নি। তারা অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে গেছে। তাদের ভিতর কোন পরিবর্তন নেই, অনুশোচনা বোধও নেই। তারা হচ্ছে এক কথায় অহংকারী, আর অহংকারী সরাসরি আল্লাহর দুশমন। তাই তাদেরকে সাথে নেযার কোন কারন নেই। আমাদের মধ্যে অনেকে ভুল করছে, নিজেকে জাহির করার জন্য দল ভারি করার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ দিচ্ছি।
এটা থেকে আমাদেরকে সরে আসতে হবে। দল করলে কোন ব্যাক্তির না শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লোক হতে হবে। মৃত্যুর ভয় আমার নেতৃরও ছিলো, বার বার তার উপর হামলা করা হয়েছে কিন্তু তার ভিতর সৎ সাহস ছিলো তাই তৃনমূলের কথা ভেবে তিনি কোথাও যান নি। তাই আমাদের কর্ম যাতে তাদের মত না হয় সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রিজিকে মালিক আল্লাহ, যেটা বরাদ্ধ আছে সেটা আসবেই। সেটা হালাল ভাবে নিবো নাকি হারাম ভাবে সেটার দায়িত্ব আমার। যারা হারামের পথে ছিলো তারা মাত্র ৪৫ মিনিটের আল্টিমেটামে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আপনার আমার অবস্থা যেন পালিয়ে যাওয়া দলের মত না হয়।
বক্তব্য শেষে আবুল কাউছার আশার সাথে তাল মিলিয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে নেতাকর্মীরা।
এসময় উপস্থিত সকলের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
নবীগঞ্জ কদম রসুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জিসাদ এর সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আওলাদ হোসেন, ১৪নং ওয়ার্ডের মোঃ সোহেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হুমায়ুন মুন্না, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পাপ্পু আহমেদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।