দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তার নেতাকর্মী ও অনুসারীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকে বরণ করে নিয়েছেন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০ টায় জাকির খান কারাগার থেকে মুক্ত হলে তার আত্মীয়-স্বজন ও নেতাকর্মীরা জেল গেট থেকে ফুল ও মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও ফিলিস্তিনের পতাকা নেরে আনন্দ উল্লাস করে। পরে গাড়িতে চড়ে তিনি পুরো শহর ঘুরে শোডাউন দেন।
কারামুক্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন করবো। শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমে আমরা রাজনৈতিকভাবে যেভাবে হয়রানি ও হেয়প্রতিপন্ন হয়েছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন তার শিকার না হয়। সে বিষয়ে আমরা কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমার শরীরের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিলেও নারায়ণগঞ্জবাসীর ঋণ কখনো শোধ হবে না। নারায়ণগঞ্জবাসীর অনেক ভালোবাসা আমি পেয়েছি। আর আমি মুসলিম হিসেবে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী আগ্রাসনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ বলেন, সন্ত্রাস বিরুদ্ধে একটি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার মেয়াদ শেষ হলে জাকির খান কে মুক্তি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জাকির খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম বলেন, “জাকির খানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা ছিল। এরমধ্যে ৩২টিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। বাকি ১টি মামলায় তিনি জামিনে আছেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক আগে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আজ তিনি সাজা শেষ করে মুক্তি পেয়েছেন।
এদিকে জাকির খানের মুক্তিতে পুরো শহরজুড়ে তার নেতাকর্মীরা বিজয় মিছিল করে। ব্যান্ড ও সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে উল্লাস করে। আবার অনেকে নেতাকে কাছে পেয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন। ফুল ছিটিয়ে ও মালা পড়িয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, হত্যা মামলাসহ মোট ৩৩টি মামলার আসামি ছিলেন জাকির খান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর একটি অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন মামলায় জামিন পান তিনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে তিনি খালাস পান।