দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে চলছে সংস্কার। এরই মধ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সহ অনেকেই তুলছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি। দেশে সংস্কারের পাশাপাশি চলতি বছরের শেষে কিংবা পরবর্তী বছরের মাঝামাঝি দেশে নির্বাচনের ঘোষনা দিয়েছেন বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার।
এদিকে, বর্তমান দেশের বৃহৎ দল বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নারায়ণগঞ্জের ক্ষেত্রেও এর বিপরীত ঘটেনি। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সদর-বন্দর আসনটিতে। এই আসনটিতে প্রায় হাফ ডজন প্রার্থী ওৎ পেতে আছে নির্বাচন করার জন্য।
ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ৩ বারের সাবেক সাংসদ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাড. আবুল কালাম প্রতিবারের ন্যায় এবারও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে পরিষ্কার ঘোষনা দিয়েছেন বহু আগেই। বিগত দিনে তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও ব্যক্তি ইমেজ নিয়ে, সাংসদ থাকাকালিন উন্নয়নের ধারা তাকে রেখেছে এখনো ক্লিনম্যানের তালিকায়। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক সংগঠন, রাজনৈতিক মহল ও দলীয় ক্লিন ইমেজের তালিকায় রয়েছে তার নাম।
অপরদিকে, বর্তমান নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বিগত দিনে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে যার নামের সাথে যুক্ত রয়েছে অর্থ কেলেঙ্কারির নানা অভিযোগ। ৫ আগষ্ট সরকার পতন আন্দোলনের পর থেকে এ যাবৎ পর্যন্ত নানা অভিযোগের ঝুড়ি জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের দপ্তরে। বিগত দিনে উপজেলা নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর কাছ থেকে নানা সুযোগের বিষয়ে স্থানীয় মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বহুবার।
এছাড়াও তার অধিনে থাকা অনেক নেতাই মিডিয়ার মাধ্যমে অর্থ কেলেঙ্কারীর তথ্য ফাঁস করতে দেখা গেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনিও সদর-বন্দরে প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু নিজের সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এবারই প্রথম নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি ইউনিট ও ওয়ার্ড কমিটি সফল ভাবে ঘোষনা করেছেন। সেই সাথে ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী থেকে মহানগর বিএনপির কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার পর থেকে তার সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এসেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে সরাসরি তিনি সদস্য সচিব হয়েছেন তার কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে।
এবারের নির্বাচনে তিনিও দলের হাইকমান্ডের কাছে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, চাইবেন দলীয় সমর্থনও। দল তাকে সমর্থন দিলে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন আর না দিলে যাকে দল সমর্থন করবে তার পক্ষেই কাজ করবেন বলে জানান।
এছাড়াও মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে সদর বন্দর আসনটি বিএনপির ভোট ব্যাংক এবং দলের প্রয়োজনে সবাই ঐক্যবদ্ধ বলে জানান।
সেই সাথে তিনি বলেন আমার বড় ভাই বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম যদি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। তাহলে তিনি নির্বাচন না করে ভাইয়ের পক্ষে কাজ করবেন। আর যদি কোন কারনে তার ভাই নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করে, তাহলে তিনি প্রার্থী হবেন। এদিকে, জামায়াতের নেতা মাওলানা মাঈনুদ্দিন তিনিও নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দর আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শহরের দেয়ালে দেয়ালে তার পোষ্টার সেই ইঙ্গিত দিয়ে আসছে।