দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ গিরগিটির রং পাল্টাতে সময় লাগলেও সময় লাগেনি মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক লিটনের।শুধু তাই নয় অগচোরে যাকে নিয়ে নানা কুৎসা রটাতে ব্যস্ত ছিলেন, যার কর্মী সমর্থকদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকতেন।
আজ সেই জাকির খানের মুক্তির পরই বাঘের ন্যায় মুছে তা দেয়া নেতা এখন ভেজা বিড়ালে পরিণত হয়েছে। এরকম নানা অভিযোগের ঝুড়ি জমা রয়েছে আনন্দ বাসের কথিত চেয়ারম্যান লিটনের বিরুদ্ধে।
নেতাকর্মীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, একসময় নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনালের ড্রাইভার জুয়ার আসর পরিচালনাকারী লিটন ৫ আগষ্টের পর আনন্দ বাসের চেয়ারম্যানের পদ দখল করে, বাস ষ্ট্যান্ডে নিজের রাম রাজত্ব শুরু করে। আর তার নানা অপর্কমের প্রধান বাঁধা হয়ে উঠে জাকির খান সমর্থিত নেতাকর্মীরা। আর এতেই হাটে হাড়ি ভাঙ্গার উপক্রম হয় লিটনের। তাই নানা কুটকৌশল অবলম্বন করে জাকির খান সমর্থিত নেতাকর্মীদের স্ট্যান্ড এলাকা থেকে সরাতে।
এ বিষয়ে নেতাকর্মীরা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন আহমেদ। যে কিনা কিছুদিন পূর্বেও শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান ও তার অনুসারীদের বিরোধিতা করতো। যেখানেই জাকির খানের কর্মী সমর্থকদের আনাগোনা থাকতো তিনি সেখানেই এর বিরোধিতা করতেন বলে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়। তিনি কখনোই চাইতেন না জাকির খান বা তার কর্মীরা কোন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকুক।
কিন্তু গত ১৩ এপ্রিল জাকির খান মুক্তি পেলে পাল্টে যায় তার চিন্তাধারা। তিনি এখন নিজেকে জাকির খানের একজন সমর্থক হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করছেন।
জাকির খান মুক্তি পাওয়ার দুই দিন পর তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাসায় চলে যান লিটন। জাকির খানের সাথে দেখা করেন এবং তার সকল ধরনের কার্যক্রমে পাশে থাকা সহ বিভিন্ন কাজের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন বলে সূত্রে জানা গেছে। তাহলে কি জাকির খান মুক্তি পাওয়াতে সে তার ভোল পাল্টে ফেলেছে নাকি এর মধ্যে অন্যকোন স্বার্থ লুকিয়ে আছে। তার এমন বহুরূপী আচরণে অনেক নেতাকর্মী বিস্ময় প্রকাশ করেছে। এধরনের নানা অভিযোগের ঝুড়ি তুলে ধরেন জাকির খান সমর্থিত নেতাকর্মীরা।