প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান বলেন,কয়েকদিন আগের একটি ঘটনা আমি মেনে নিতে পারিনি। এই ঘটনা আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। বুয়েটের একটি ছাত্র নাম হচ্ছে আবরার ফাহাদ। ছেলেটাকে পিটিয়ে মেরে ফেললো। আওয়ামীলীগের শামীম হিসেবে না, একজন বাবা হিসেবে কিছু বলতে চাই। যে ছেলেটাকে মেরে ফেলা হলো সে তো আর ফিরে আসবে না তার বাবা-মায়ের কাছে। ওর বাবা মায়ের স্বপ্ন শেষ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে জালকুড়ি হাই স্কুল এন্ড কলেজের গর্ভনিং বডির এর সভাপতি এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মানন্না প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বুয়েটে চান্স পায় কারা? যারা সেরাদের সেরা তারাই সুযোগ পায় বুয়েটে পড়ালোখা করার। তো সেরা একজন ছাত্রকে মেরে ফেলা হলো। আমরা সবাই কষ্ট পেলাম,দুঃখ পেলাম। আমার কষ্ট কিন্তু আরো এক জায়গায়। আরো ২০টা ছেলে যাদের এই মামলায় সম্পৃক্ততা এসেছে কিংবা সম্পৃক্ত হবে বা আদালতে প্রমাণিত হলে হয়ত তার শাস্তি হবে। সেই শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কিংবা ফাঁসি। ওরাও কিন্তু সেরাদের সেরা।
অভিবাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা আমাদের বাচ্চাদের কি বানাচ্ছি মানুষ নাকি আমরা শুধু রেজাল্টের দিকে যাচ্ছি শুধু! আমরা আমাদের বাচ্চাদের কি শিখাচ্ছি? এটা আমার প্রশ্ন আপনাদের সবার কাছে এবং আমার নিজের কাছে। কি বানাচ্ছি আজকে আমাদের বাচ্চাদের? ওদের কি রোবট বানাচ্ছি? শুধু প্রতিযোগিতা আর প্রতিযোগিতা! এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কি ওদের মাঝ থেকে মনুষত্বকে দূর করে দিচ্ছি?
এসময় ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা, লেখাপড়া করতে হবে নিজের স্বার্থে, আমার স্বার্থে না। আর যদি মনে করো এমনিই লেখা পড়া করবা তাহলে করো না। ছেড়ে দেও লেখাপড়া। সময় নষ্ট করো না বরংচ অন্য কাজকর্ম শিখো কাজে দিবে। কারণ তোমাদের সামনের জীবনটা অনেক কঠিন, এতো সোজা ভেবো না।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া,জালকুড়ি হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এনায়েত হোসেন, যুবলীগ নেতা এহসানুল নিপু, নাসিক ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম বাচ্চু প্রমুখ।