নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১ নং ওয়ার্ড পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার বাসিন্দা মো: রফিকুল ইসলাম নামে সরকারি এক কর্মচারীর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতে বিচারাধিন মামলা নিস্পত্তি হাওয়ার আগেই পানির কষ্টের মানবিক সমস্যা তুলে ধরে অন্যের জমিকে নিজের জমি দাবি করে সাবমারশিবল কল বসিয়ে মালিকানা নিশ্চিত করার কৌশল গ্রহন করেছে বলে অভিযোগ জানা গেছে।
জানা গেছে, পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় জমি কিনে বহুতল একটি ভবন নির্মাণ করে সরকারি কর্মচারী মো: রফিকুল ইসলাম। ভবন নির্মাণের সময় তিনি কোন জায়গা ছাড়েননি। উল্টো পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা দখল করে। যা ইতোমধ্যে ভেঙ্গে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
প্রতিবেশী হাজী চাঁন মিয়া অভিযোগ জানায়, আমি এলাকায় না থাকার সুযোগে রাস্তার জন্য জায়গা না ছেড়ে নকশা অনুমোদন ছাড়াই রফিকুল ইসলাম বাড়ি নির্মাণ করে। পরে নিজ ও জনস্বার্থে ৮ ফুট জায়গা ছেড়ে রাস্তা করা হয়। পাশাপাশি রাস্তার জন্য জায়গা না ছাড়ায় রাজউক, পানিউন্নয়ন বোর্ড, নারায়ণগঞ্জ জেলাপ্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করি। জমির মালিকানা নিয়ে যেন কোন বিরোধ না হয় সেজন্য রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়।
বর্তমানে মামলাটি বিচারাধিন রয়েছে। মামলা নিস্পপত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশা জমিতে কোন প্রকার কাজ কোন পক্ষই যাতে করতে না পারে সে মর্মে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রফিকুল ইসলাম সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে আমার নিজ খরচে ঢালাই করা রাস্তা কেটে সাবমারশিবল কল বসানোর কাজ শুরু করে। আমি বাঁধা দিলেও কোন কর্ণপাত করেনি।
তিনি আরো জানান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুককে ম্যানেজ করে জামায়াতে ইসলাম সমর্থিত রফিকুল ইসলাম পানি সমস্যার কথা বলে আমার জায়গাকে নিজের বলে সিটি কর্পোরেশন থেকে রাস্তা কাটার অনুমতি নেয়। এলাকাবাসীর পক্ষে আমার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী উদার মনে জনস্বার্থ বিবেচনা করে রাস্তাটি ১২ ফুট করার জন্য টেন্ডার প্রদান করেছিল।
রাস্তা ১২ ফুট করতে হলে রফিকুল ইসলামের বাড়ির ২ ফুট ভাঙ্গা পরে। ২ ফুট ভেঙ্গে ফেলার জন্য দাগ দিয়ে যায় সিটি কর্পোরেশনের লোকজন। পরে কাউন্সিলর ফারুক পক্ষনিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মেয়রকে ভুল বুঝায়। যার ফলে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কাউন্সিলর ফারুকের সহযোগীতায় রফিকুল ইসলাম জোর করে আমার ছেড়ে দেওয়া জায়গার রাস্তা কেটে সাবমারশিবল কল বসাচ্ছে।
যা ভবিষ্যতে রাস্তা নির্মানে সমস্য হয়ে দাঁড়াবে। তাছাড়া যখনই নষ্ট হবে তখনই রাস্তা কাটতে হবে। তাই সিটি মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন চাঁনমিয়া।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি রাস্তার জন্য ৪ ফুট ছেড়েছেন। সামাচ্ছিপল কলটি নিজ জায়গায় বসিয়েছেন গত ২০০৭ সালে। চাঁনমিয়া কলের উপর পাকা ঢালাই করে দেয় জোর করে। কয়েকদিন আগে সামাচ্ছিপল মোটর নষ্ট হয়ে পড়ে।
এতে পানি দুর্ভোগ দেখা দেয়। তাই সিটি কর্পোরেশনের অনুমতিক্রমে মোটরটি ঠিক করার জন্য রাস্তা কাটা হয়েছে। মোটর ঠিক করার পর নিজ খরছে রাস্তাটি মেরামত করে দেওয়া হবে। যাতে জনচলাচলে কোন বিঘœ না ঘটে। তার পরও চাঁনমিয়া অহেতুক কাজে বাঁধা দিচ্ছে।
কাউন্সিলর ওমর ফারুক জানান, অনেক দিন ধরে একটি বাড়ির বহু পরিবার পানি কষ্টে ভোগছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব। তাই রাস্তা কাটার আবেদনে আমি সুপারিশ করেছি।
কাউন্সিলর ওমর ফারুক জানান, অনেক দিন ধরে একটি বাড়ির বহু পরিবার পানি কষ্টে ভোগছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব। তাই রাস্তা কাটার আবেদনে আমি সুপারিশ করেছি।