টানা তৃতীয় বারের মত সরকার গঠনে আওয়ামীলীগ সফলতা পেলেও স্থানীয় ভাবে ঘর গোছাতে অনেকটাই দিচ্ছেন ব্যর্থতার পরিচয়। দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছরে পা রাখলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটির দায়িত্বে এখনও রয়েছেন বৃদ্ধরা। যদিও তাদের প্রায় সবাই আওয়ামীলীগের কমিটিতে নিজেদের জায়গা দখল করে নিলেও অভিবাবকহীন হয়ে পরেছে জেলা যুবলীগ।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের কমিটি ঘোষনা না হওয়ায় পুরাতন সেই শহর যুবলীগের কর্তাবাবুরাই সাংগঠনিক হীন ভাবে তাদের অবস্থান জানান দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন সভাসমাবেশে। তবে তারা আশাবাদী মহানগর যুবলীগের কমিটির পুনরায় দায়িত্ব আসবে তাদের হাতে।
দীর্ঘ দিন ধরেই আংশিক ঘোষিত কমিটি থাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক অবস্থান রয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। শুধুমাত্র কমিটির প্রথমদিকে থাকা কয়েকটি পদবীর মাধ্যমেই জেলা যুবলীগের কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসলেও সেটাও এখন আর দেখা মিলে না।
অথচ রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে শক্তির বাহক হিসেবে ধরা হয় আওয়ামী যুবলীগকে। আর এর প্রমানও রয়েছে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলেও আন্দোলন সংগ্রামের সময়।
জানাযায়, ২০০৫ সালে উত্তর ও দক্ষিন মেরুর সমন্বয়ে জেলা যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়। যেখানে সভাপতি আব্দুল কাদির ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকিরুল আলম হেলাল, সহ-সভাপতি আসিফ হোসেন মানু, যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজামকে রেখে কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিলো।
সেই যুবলীগের সাবেক যুবকরা আজ আওয়ামীলীগের কমিটিতে বিভিন্ন পদে স্থান পেলেও এখনও ঘুম ভাঙ্গেনি স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের। আর শহর যুবলীগের কর্তাবাবুরা অন্য কোথাও স্থান না নিয়ে আশায় বুক বেধে রয়েছেন মহানগর যুবলীগের কমিটি পুনরায় নিজেদের ভাগে আনার।
এ বিষয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের পুনার্ঙ্গ কমিটি দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। সেই সাথে অমনোযোগী মনভাবের পরিচয় দিচ্ছেন বর্তমান স্থানীয় রাজনীতিতে দায়িত্বে থাকা কর্তাবাবুরা। তবে নতুন নেতৃত্ব বিকাশে অবশ্যই অঘোষিত ও আংশিক কমিটি গুলোকে নতুন রুপে সাজাঁনো উচিৎ এবং এটাই হবে সঠিক ও সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত।