পেঁয়াজ-চালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ষড়যন্ত্র এবং সারাদেশে বাম জোটের নেতা কর্মীদের উপর পুলিশ ও সরকারি দলের ছাত্রলীগ, যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আজ বিকাল ৪ টায় চাষাড়াস্থ শহিদ মিনারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহিদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ২নং রেলগেইটে এসে শেষ হয়। জেলা বাম জোট ও বাসদ সমন্বয়ক নিখিল দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, শিবনাথ চক্রবর্তী, আবু নাঈম খান বিপ্লব, আবু হাসান টিপু, অঞ্জন দাস প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপন্যের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পথকে অনুসরণ করে এক ডজন নিত্যপন্যের দাম বেড়েছে। পত্রিকায় এসেছে টিসিবির পেঁয়াজ কালোবাজারে। অর্থাৎ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ন ব্যর্থ, অসাধু সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীরা সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে বাজারে নৈরাজ্য তৈরী করেছে। এতে সাধারন মানুষ বিপর্যস্ত।
নিত্যপন্যের ব্যাপক বর্ধিত দামে মানুষের জান যখন আর বাঁচে না, তখন নতুন করে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই দাম বৃদ্ধির গণশুনানি করেছে। গত ১০ বছরে ৮ বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির দায় জনগনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
বিদ্যুতের কুইক রেন্টালের নামে কুইক লুটপাটের ব্যবস্থা করেছে। দেশে চরম ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে সরকার। জনগনের দাবিতে রাস্তায় নামতে দিচ্ছে না। সিপিবির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা প্রবীন শ্রমিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান খানের উপর হামলা করেছে জামালপুরে।
এছাড়া শেরপুর, ঢাকার শান্তিনগরে সিপিবির নেতা-কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী হামলা করেছে। এতে মঞ্জুর মঈনের মাথা ফেটে যায়। ঢাকার সূত্রাপুরে বাসদের সমাবেশে পুলিশ ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা করে সভা পন্ড করে দেয়। এইভাবে সারাদেশে বামজোটের নেতাকর্মীদের উপর হামলা অব্যাহত রয়েছে। নেতৃবৃন্দ বামজোটের নেতাকর্মীদের উপর হামলার বিচার দাবি করেন।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)