নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের উত্তরসুরি আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে অন্যের বৈধ জমি নিজের দখলের পায়তারা করছে জামাই সুমন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এমনটাই দাবি করলেন ভুক্তভোগী বৃদ্ধা আব্দুল জলিল।
বৃদ্ধা আব্দুল জলিল আরও জানান, নাসিক ১৩ নং ওয়ার্ডে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে আতœীয় সাথে দ্বন্ধকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় প্রয়াত সাংসদ একেএম নাসিম ওসমানের উত্তরসুরি আলহাজ আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব খাটাচ্ছেন গলাচিপার জামাই সুমন। অথচ আমরা এলাকাবাসী হিসেবে যতটুকু দেখে আসছি আজমেরি ওসমান একজন দানবীর। সে বিভিন্ন এতিম খানা, মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন।
আমি খুব কাছ থেকে জনগনের সেবায় তার বাবাকে নিয়োজিত থাকতে দেখেছি। ঠিক একই কায়দায় তার উত্তরসুরি আলহাজ আজমেরী ওসমান জনগনের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আমি আশাবাদী যদি আজমেরি ওসমানের কাছে আমার এই বিষয়টি নিয়ে যেতে পারি তাহলে অবশ্যই এটার সুবিচার পাবো। কিন্তু তার নিকট পর্যন্ত পৌছাতে পারছি না বিভিন্ন সময়ে প্রদেয় জামাই সুমনের ভয়ীতির কারনে। এই সকল সুবিধাবাদীদের কারনে সাবেক জনদরদী সাংসদ পুত্র আজমেরি ওসমানের বদনাম হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জামাই সুমন বলে বেড়াচ্ছে বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে বাড়িতে এসে যেকোন সময় জায়গা দখল করে নিবে। নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে পরিবারে বসবাসরত ছোটবড় সবাইকে অস্বস্তিকর পরিবেশ ফেলে দিচ্ছে।
অথচ আবদুল জলিল বিধবা নুৎফুন নাহারের আপন ভগ্নিপতি । যাকে এক সময় তিনি নিজ মেয়ের মতই লালন-পালন করেছেন। আবদুল জলিলের ছেলে মনিরুজ্জামান শাহীনের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জেলা সাবেক ঢাকা হালে নারায়ণগঞ্জ, থানা ও সাব রেজিষ্ট্রি অফিস ফতুল্লা অধীন সেঃ মেঃ সি.এস ১৯১ নং এস এ৪৫ নং, আরএস ৩৪ নং মাসদাইর মৌজাস্থিত খতিয়ান নং সি.এস ১৫৭,এস.এ ৩১৫, আর এস১৯৭, দাগ নং সিএস ও এস এ৭১৩,৭১৩/৭৮৬/৭১৩আরএস খতিয়ান ১৯৭ দাগ নম্বর আরএস ১০৩৮,১০৩৯, পরিমান-সাড়ে ৪২ শতাংশ ইহার কাতে ২১ শতাংশ কিন্তু দখলে আছে মাত্র ৪ শতাংশ।
উল্লেখ থাকে যে এ সম্পত্তি শুধুমাত্র ১০৩৯ দাগে যা ১০৩৮ দাগের কোন অংশেই নহে। নিজে ক্রয়কৃত জমিতে মনিরুজ্জামান শাহীন একটি পারিবারিক পার্ক নির্মান করেছিলো যা বর্তমানে সেভাবেই পড়ে রয়েছে। অথচ সেই জমিতে তিনি বর্তমানে ২.৪২ শতাংশ দাবী করছেন যা কিনা উক্ত জমির মধ্যে নহে। আর এ দাবী মেনে না নেয়ার লুৎফুন নাহারের জামাতা সুমন ( যিনি আজমেরী ওসমানের কাছের লোক হিসেবে পরিচয়দানকারী ) বিভিন্নভাবে দখলে নিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছে। এও বলছে আমি আজমেরী ওসমানের লোক।
আামি কিছু করলে কাউকে বলে করিনা। ভালো ভালোয় ছেড়ে দাও নতুবা কিছুই পাবেনা বরং এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে। ষাটোর্ধো বয়সী আবদুল জলিল বলেন, ছেলের ক্রয়কৃত জমি ছেড়ে দিতে বলছে শ্যালিকার জামাতা সুমন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সর্বজন সম্মানিত ব্যক্তি প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের সুযোগ্য পুত্র সন্তান আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকেসহ পরিবারের সদস্যদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী অব্যাহত রেখেছে। যা নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে।
এ ঘটনায় মামলার সমন জারি হলে বাদী লূৎফর নাহার স্বামী-মৃত সাগর আহম্মেদ সাং- ১৫১ নং কলেজ রোড, গলাচিপা নারায়ণগঞ্জ বিবাদী ফারহানা জামান গংকে সহকারী জজ দ্বিতীয় আদালত রবিবার (১ লা ডিসেম্বর) আদালত মামলা নং-দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৩৫৯/২০১৯ কারন দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
অথচ জননেতা আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে জামাতা সুমনের প্রভাব খাটিয়ে শাশুড়ি লুৎফন নাহার আদালতের কোন প্রকার নির্দেশনা না পেয়ে আদালতের নাম ভাঙ্গিয়ে যথাযথ ভূমিতে একটি আইনী নোটিশ সাটিয়ে দিয়েছেন। যার কোন আইনহত ভিত্তি নেই যেহেতু সবেমাত্র সমন জারি করা হয়েছে। তাহলে কিভাবে লুৎফুন নাহার আইনী নোটিশ সেখানে সাটিয়ে দেন। বিষয়টি আদালতের আমলে নেয়া হোক।