ফতুল্লায় ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও রিকসা থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগে আটক আজিজুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ইজিবাইক চালক রাসেল বাদী হয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে আজিজুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মামলানং-৭। এঘটনায় পুলিশ আজিজুলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অন্য আসামীরা হলো, মো:কবির হোসেন,স্বপন,সাইদুল,সোহেল,আমির,রানা।
বাদী মামলার এজাহারে জানান, ফতুল্লায় প্রায় ২ বছর ধরে ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক চালান। উল্লেখিত আসামীরা পাগলা বাজার এলাকায় ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও রিকসা থেকে আজিজুলের হুকুমে চাঁদাবাজী করে আসছে। গত ১৯ নভেম্বর ফতুল্লা থেকে পাগলা বাজার ষ্ট্যান্ডে গেলে আমার কাছ থেকে ৩০ টাকা চাঁদা দাবী করে । চাঁদা না দিলে আজিজুলসহ অন্য আসামীরা আমাকে মারধর করে নিলা ফুলা জখম করে।
তাহারা আমার পকেটে থাকা ১২০০ টাকা নিয়া যায় ইজি বাইকের সামনের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে এবং বলে তুই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিবি না হলে রাস্তায় ইজি বাইক চালাতে পারবি না। বেশী বারাবারি করিলে খুন করিয়া ফেলিব বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোফাজ্জল করিম খাঁন জানান, চাঁদাবাজীর সময় নগদ টাকাসহ আজিজুল ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ৭দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ জুন ২০১৮ সালে ফতুল্লায় প্রকাশ্যে রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় পুলিশ ধাওয়া করে লিটন, আল আমিন, হাসান হাওলাদার ও রাজুসহ ৪ জনকে আটক করে। এ সময় আজিজুল হকসহ ৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রশিদ ও চাঁদাবাজির দুই হাজার ৪৬০ টাকা জব্দ করেছেন। তারা ফতুল্লা ও পঞ্চবটির মোড়ে রিকশা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে থাকে।
এ ঘটনায় পুলিশের এএসআই তারেক আজিজ বাদী হয়ে আজিজুলসহ ৭ জন চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে দরুত বিচার আইনে মামলা করেছিলেন।
এদিকে মালিক ও চালকদের দাবি রিকশা ও ইজিবাইকগুলো যেন ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে নেয়া হয়। এতে সরকার রাজস্ব পাবে এবং সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি কমে যাবে। একই সঙ্গে দরিদ্র শ্রেণির মানুষজন সন্ত্রাসীদের হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে।