নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, যারা এমপি,মন্ত্রী হতে চান না তারা চান জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে পরিচালনা করুক তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। আল্লাহকে বিশ্বাস করে বলতে চাই আল্লাহর রহমত আছে শেখ হাসিনার জন্য তাই এই জন্য বাংলাদেশের মানুষের দরকার শেখ হাসিনার মত সরকার।
শনিবার (৭ডিসেম্বর) নারায়নগঞ্জ ফতুল্লার ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি এখানে একজন এমপি বা আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে বক্তব্য রাখছি না।এখানে বক্তব্য রাখছি একজন আসামী হিসেবে।আমার নামে যে মামলা দিয়েছে তাকে আমি গনায় ধরি না কারন আমি চেষ্টা করি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর গুনাবলী অনুসরন করতে। জননেত্রী ভালোবাসেন দল ও তৃনমূল নেতাদেরকে।তার সবচেয়ে বড় গুন ধৈর্য ধারন করা।তার আরেকটি গুন আছে তিনি নীলকুন্ঠি।যে বিষ হজম করতে পারে। আমি তার মতই হতে চাই।আমাদের নামে যে মামলা করা হয়েছে আজকে অন্য কোন দল ক্ষমতায় থাকলে নারায়নগঞ্জের রাজপথ কাঁপতো।
তিনি মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,আপনারা দেখবেন যারা বড় কথা বলে তার পিতারা হলো ভূমিদূস্য। আমি আপনাদের জমির দাগ নাম্বার (২১/১০/৭৬) দিয়ে দিচ্ছি আপনারা খবর নিয়ে দেখেন।২২ মাস আগে নাসিক মেয়র শাহ নিজাম, হেলাল, সাজনু সহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা করে।এই মামলা আমার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে না সরকারের বিরুদ্ধে। যে আওয়ামী লীগ নেতার নাম ব্যবহার করে বিএনপি-জামাতের হয়ে আওয়ামী লীগকে বিবাদী করে মামলা করে।এই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, আইজিপি, এসপিকে বিবাদী করেও মামলা করে বিএনপি জামাতকে খুশি করতে।
তিনি আরো বলেন,পদ পদবীর জন্য রাজনীতি করি না।মন্ত্রীত্ব দেওয়া হয়েছিলো নেই নাই।ছাত্র লীগের সভাপতি হতে বলে ছিলো দেয়াল টপকে পালিয়ে এসেছিলাম।জাতির জনক হত্যার প্রতিবাদে রাজনীতিতে এসেছিলাম। নারায়নগঞ্জ নিয়ে কেউ খেলবেন না।শীতলক্ষা ও বুড়িগঙ্গা দুই দিক দিয়ে যায়।শুধু একটাই শেখ হাসিনার সুন্দর বাংলাদেশ।আমাদের সাথে খেলতে আসলে আমরাও খেলবো।
এত দিন ধৈর্য ধরে ছিলাম আর না।বিএনপির খালেদা জিয়া হলো এতিমের টাকা চোর।এই দল হলো আগুনের দল,ভূমিদূস্য এর দল এরা বলে বাংলাদেশে নাকি আইন নেই।আমরা কি জানি না প্রিয়া সাহাকে ডোনাল্ড টাম্পের কাছে কারা পাঠিয়েছে এবং ডাকসুর ভিপিকে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো।আপনারা মনে রাখবেন যার পিছনে কর্মী নাই সেই নেতার কোন দাম নাই।সামনে ষড়যন্ত্র আসছে ভয় পাবেন না। এক সাথে হয়ে এর প্রতিকার করতে হবে।আর আজকের এই সম্মেলনে তৃনমূল নেতাকর্মীরাই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচন করবে।
সম্মেলনে নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন,নারায়নগঞ্জে আমরা কোন হাইব্রিড নেতাকর্মী চাই নাই।ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগে হাইব্রিড নেতাকর্মীদের জায়গা দেওয়া হবে না।আপনাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে এর মাধ্যমেই আমরা ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগে নির্বাচন করবো।
ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগেত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনটি নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপুর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলো নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি চন্দন শিল,সাধারন সম্পাদক এড.আবু হাসনাত মোঃশহীদ বাদল,সাধারন সহ-সম্পাদক এড.খোকন সাহা,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইকবাল পারভেজ,সাংগঠনিক সম্পাদক ড.আবু জাহের,দপ্তর সম্পাদক এম.এ রাসেল,মহানগর আওয়ামীলীগ যুগ্ন সম্পাদক শাহ নিজাম,বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দীন প্রধান,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ সভাপতির এম.সাইফ উল্লাহ বাদল,সাধারন সম্পাদক এম শওকল আলী,
চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন,চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির,মিজানুর রহমান বাচ্চু,ফাইজুল ইসলাম,মির সোহেল,মনির হোসেন লিটন,জুয়েল হোসেন,শাহাদাত হোসেন সাজনু,জাকিরুল আলম হেলাল প্রমূখ।