পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ এনে মা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেন ৪ বোন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনটি করেছে।
অভিযুক্তরা হলেন, নগরীর চাষাড়াস্থ লুৎফা টাওয়ারের মালিক মৃত্যু আঃ রউফের ছেলে লুৎফর রহমান সুমন ও মাতা লুৎফা বেগম।
আর অভিযোগ কারি ৪ বোন আসমা আক্তার সুইটি, মাহমুদা মাকসুদ সোনিয়া, তানিয়া রউফ অথী,সাদিয়া রহমা স্নিগ্ধা।
সংবাদ সম্মেলনে লুৎফা টাওয়ারের মালিক মৃত্য আঃ রউফের ৪ কন্যাদ্বয়ের পক্ষ থেকে জামাতা আল মামুন মাকসুদ বলেন, আমার শুশুড়(আঃরউফ) ২০১৮ সনে মৃত্যর পর তার ছেলে লুৎফর রহমান সুমন সকল সম্পত্তি ও অর্থ জালিয়াতি করে নিজের নামে করে। আঃ রউফের ৪ কন্যাদ্বয় আসমা আক্তার সুইটি,মাহমুদা মাকসুদ সোনিয়া,তানিয়া রউফ অথী ও সাদিয়া রহমান স্নিগ্ধা তার পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশকৃত সম্পত্তি চাইলে অপমান অপদস্থ করে এবং নারায়নগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা থানায় তাদের নামে একাধিক জিডি ও মামলা করে।
এমনকি সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী লোক আমাদের পিছনে লাগিয়ে দেওয়া হয় যাতে করে থানায় গিয়ে যাতে কোন প্রকার মামলা করতে না পারে।এছাড়া আমরা নারায়নগঞ্জ সদর মডেল ওসি কামরুল ইসলামের দ্বারস্থ হলে তিনি আমাদের মামলা নেন না এবং কোন প্রকার সাহায্য করেন না।
থানায় যেহেতু মামলা নেয় নাই তাহলে দেওয়ানি আদালতে গিয়ে কেনো আপনারা মামলা করছেন না এবং ২০১৮ সাল থেকে আপনারা এই সমস্যায় পড়েছেন অথচ কোন মিডিয়াকে জানান নাই কেনো?
সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মামলা তো দূরের কথা কোন প্রকার জিডি করতে পারছি না।আমরা এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাছ থেকে কোন সহযোগীতা পাই নাই। সমগ্র জায়গায় সুমনের লোক ছাড়ানো আমাদের পরিচিত অপরিচিত আমরা কোন প্রকার মামলা বা কোন প্রতিবাদ করতে চাইলে আমাদের প্রাননাশের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে।
মানুষ স্বাভাবিক ভাবে কোন সমস্যায় পড়লে থায় যায় কিন্তু আমরা থানায় গিয়েও সুরাহা পাচ্ছি না উল্টো আমাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।তাই আজকে আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি আপনাদের সহযোগীতায় প্রশাসনের সাহায্যের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাপ্প অধিকার যেনো পাই এবং যারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে তাদের শাস্তি প্রদান করা হোক।
উল্লেখ্য,নারায়নগঞ্জ চাষাড়াস্থ লুৎফা টাওয়ারের মালিক আঃরউফ মৃত্যুর পূর্বে তার ছেলে লুৎফর রহমান সুমন সুকৌশলে তার বাবার সম্পত্তির আয় – উপার্জন ও জমির দলিলপত্র সহ ব্যাংকে গচ্ছিত সকল অর্থ তার আয়ত্তে নেবার চেষ্টা করে এবং মৃত্যুর পর থেকে তা জালিয়াতি করে লুৎফা বেগমের সহায়তায় নিজের নামে লেখে নেয় এবং তার ওয়ারিশকৃত ৪ কন্যাদ্বয়ের ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চালায়।
এতে ৪ কন্যাদ্বয় তাদের ওয়ারিশকৃত সম্পত্তির দাবী করলে তার ভাই সুমন ও মাতা লূৎফা বেগম নানা ভাবে অপমান অপদস্থ সহ থানায় একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
এর মধ্যে ৪ কন্যা আসমা আক্তার সুইটি,মাহমুদা মাকসুদ সোনিয়া,তানিয়া রউফ অথী,সাদিয়া রহমা স্নিগ্ধা সহ জামাতাদের বিরুদ্ধে কর্মচারী রমজান আলীর মাধ্যমে ৬/০২/১৯ তারিখে একটি মামলা যার মামলা নং ৮(২)১৯, ভাই লুৎফর রহমান সুমন ৫/০৫/১৯ তারিখে একটি মামলা করে যার মামলা নং ১৪(৫)১৯ এবং মাতা লুৎফা বেগম ৮/০৫/১৯ তারিখ একটি মামলা করে যার মামলা নং ৩৪(৫)১৯।
এর ফলে মৃত্যু আঃরউফের ৪ কন্যাদ্বয়কে বাবার সম্পত্তির অধিকারের দাবি করায় কারাবরন করায় এবং সবাই জেলে থাকা অবস্থায় মাহমুদা মাকসুদকে তার পিতা আঃরউফ মৃত্যের পূর্বে লুৎফা টাওয়ারে ১১তলায় একটি ফ্লাট লেখিত ভাবে দিয়ে যায় সেই ফ্লাট থেকেও তাকে বের করে দেয় তার ভাই লুৎফর রহমান সুমন।থানায় একাধিকবার অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ তাদের কোন প্রকার সহযোগীতা না করায় নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আসমা আক্তার সুইটি,মাহমুদা মাকসুদ সোনিয়া,তানিয়া রউফ অথী,সাদিয়া রহমা স্নিগ্ধা।