নাতি/নাতিনের প্রতি নানা-নানী আবার ভাগিনা/ভাগ্নির প্রতি মামার আদর থাকে সীমাহীন। কিন্তু সামান্য সম্পত্তির লোভে মামা ও নানীর আক্রাশের কারনে মা ও বাবার সাথে জেল খাটতে হয়েছে অবুঝ ২ বছরের শিশু আরিয়ানকে।
দুই বছরের অবুঝ শিশু আরিয়ান মা বাবার সাথে ২২ দিন জেল খাটে ফতুল্লা মডেল থানায় ৮ মে ২০১৯ এ নানী লুৎফা বেগম এর করা একটি মামলায়। যার মামলা নং ৩৪(৫)১৯। মামলায় লুৎফা বেগম ঢাকা যাবার পথে ভূইঘর নামক স্থানে তার গাড়ি গতিরোধ করে তার কাছে থাকা ৭ লক্ষ ৪৫হাজার টাকা ছিনতাই ও মারধর করে তাকে দিয়ে একটি খালি স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করে ৪ কন্যা আসমা আক্তার সুইটি,মাহমুদা মাকসুদ সোনিয়া,তানিয়া রউফ অথী,সাদিয়া রহমা স্নিগ্ধা সহ তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
নারায়নগঞ্জ চাষাড়াস্থ লুৎফা টাওয়ারের মালিক আঃ রউফ মৃত্যুর পূর্বে তার ছেলে লুৎফর রহমান সুমন সুকৌশলে তার বাবার সম্পত্তির আয় – উপার্জন ও জমির দলিলপত্র সহ ব্যাংকে গচ্ছিত সকল অর্থ তার আয়ত্তে নেবার চেষ্টা করে এবং মৃত্যুর পর থেকে তা জালিয়াতি করে লুৎফা বেগমের সহায়তায় নিজের নামে লেখে নেয় এবং তার ওয়ারিশকৃত ৪ কন্যাদ্বয়ের ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চালায়।
এতে ৪ কন্যাদ্বয় তাদের ওয়ারিশকৃত সম্পত্তির দাবী করলে তার ভাই সুমন ও মাতা লূৎফা বেগম নানা ভাবে অপমান অপদস্থ সহ থানায় একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে।এর মধ্যে ৪ কন্যা আসমা আক্তার সুইটি,মাহমুদা মাকসুদ সোনিয়া,তানিয়া রউফ অথী,সাদিয়া রহমা স্নিগ্ধা সহ জামাতাদের বিরুদ্ধে কর্মচারী রমজান আলীর মাধ্যমে ৬/০২/১৯ তারিখে একটি মামলা যার মামলা নং ৮(২)১৯, ভাই লুৎফর রহমান সুমন ৫/০৫/১৯ তারিখে একটি মামলা করে যার মামলা নং ১৪(৫)১৯ এবং মাতা লুৎফা বেগম ৮/০৫/১৯ তারিখ একটি মামলা করে যার মামলা নং ৩৪(৫)১৯।
এর ফলে মৃত্যু আঃ রউফের ৪ কন্যাদ্বয়কে বাবার সম্পত্তির অধিকারের দাবি করায় কারাবরন করায় এবং সবাই জেলে থাকা অবস্থায় মাহমুদা মাকসুদকে তার পিতা আঃ রউফ মৃত্যের পূর্বে লুৎফা টাওয়ারে ১১তলায় একটি ফ্লাট লেখিত ভাবে দিয়ে যায় সেই ফ্লাট থেকেও তাকে বের করে দেয় তার ভাই লুৎফর রহমান সুমন। থানায় একাধিকবার অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ তাদের কোন প্রকার সহযোগীতা না করায় নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।