নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় এক কিশোরী শ্রমিককে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। সোমবার ৯ ডিসেম্বর রাতে ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঐদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ৪ জন ও পরদিন সকালে ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রাসেল (৩৮), সুজন মিয়া (২৩), শাহাদাৎ হোসেন (২২), সুমন (২২), রবিন (২৩) ও আল আমিন (২১)।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, ধর্ষিতা কিশোরী স্থানীয় একটি কয়েল কারখানায় কাজ করে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ফেরার পথে তাদের পথরোধ করে এলাকার বখাটে যুবক রাসেল ও তার সহযোগী যুবকরা।
পরে তারা মিলে চাচাতো ভাইকে মারধরে করে সঙ্গে থাকা ৩ হাজার ৪০০ টাকা লুটে নিয়ে তাকে আটকে রাখে। একপর্যায়ে কিশোরীকে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে। এবং ধারালো ছুরির ভয় দেখিয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। ধর্ষণ শেষে কিশোরীকে ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে একটি অটো রিকশায় তুলে দেয় ধর্ষকরা।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই ফতুল্লার রেললাইন এলাকায় বসবাস করে এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ধর্ষিতা কিশোরী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ৬ আসামীকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।