যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, সকল সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে আর এই জেলার মাটি পিছিয়ে থাকবে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। সারা বাংলাদেশে ইন্ডোর স্টোডিয়ামের তালিকা হয়েছে।
ওই তালিকায় দেখলাম নারায়ণগঞ্জের নাম নেই। এটা দেখে আমার অনেক খারাপ লেগেছে। এখানকার সংসদ সদস্য শামীম ওসমান আমাকে বলেছে গতাকাল দেখেছো নামের তালিকা নেই, কিন্ত আজকে আমি দেখতে চাই নামের তালিকা থাকবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসদাইর ওসমানী পৌর স্টোডিয়ামে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলায় জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আর এ জন্য আমি এখানে বসে আমার ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন দিয়ে বলি ইন্ডোর স্টোডিয়ামের নামের তালিকায় নারায়ণগঞ্জের নাম যোগ করতে হবে। কিভাবে হবে তা আমি জানি না। আমার সাধ্যের মধ্যে যা কিছু আছে সেই অনুযায়ী আমি করার চেষ্টা করব। প্রথমে ইন্ডোর স্টোডিয়াম পরে জেলা স্টোডিয়াম করে দিবো। এক সাথে সব কিছু করা যায়না ধাপে ধাপে করবো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত এদেশ উপহার দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এই জেলার মাটি অনেক পবিত্র মাটি। এখানে অনেক বড় বড় ব্যাক্তির জন্ম হয়েছে। এখানকার খেলোয়াড়রা বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে নাম করেছে। এই জেলার খেলোয়াড়রা এক সময় সারাদেশ মাতিয়েছে। এরাই বাংলাদেশের ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছে। কার নাম রেখে কার নাম বলব। এখানকার মনির মুন্না, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ভারতের কলকাতার মাঠ কাপিয়েছে। ঢাকার পরেই নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর টঙ্গির স্থান। তাই এই জেলাকে আলাদাভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তানভির আহমেদ টিটু প্রমূখ।
খেলায় বন্দর উপজেলা ও রূপগঞ্জ উপজেলার মধ্যকার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে রূপগঞ্জকে হারিয়ে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের এবারের চ্যাম্পিয়ন হয় বন্দর উপজেলা।