ফতুল্লায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চাঁদাবাজ আজিজুলের মুক্তির দাবিতে লাগানো হয়েছে পোষ্টার। গত কয়েক তিন ধরে আজিজুলের সহযোগীরা ফতুল্লার বিভিন্ন রাস্তার অলিগলিতে এ পোষ্টার লাগিয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ইজিবাইক চালক রাসেল বাদী হয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে আজিজুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মামলা নং-৭। এঘটনায় পুলিশ আজিজুল আলআমিন নুরুজামানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অন্য আসামীরা হলো, মো:কবির হোসেন,স্বপন,সাইদুল,সোহেল,আমির,রানা তারা পলাতক রয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আল আমিন ও নুরুজামানের জামিন হয়। তবে আজিজুলকে জামিন দেননি আদালত।
এর আগে রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ‘চাঁদামুক্ত সড়ক চাই’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজিজুল গংদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে অটোরিক্সা-ইজিবাইকের মালিক ও চালকরা। ফতুল্লা থানার সামনে অটো মালিক শ্রমিক শ্রমজীবি সমবায় লিঃ (রেজি নং- ০০১৪) এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধনের পরে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইকের সকল মালিকের পক্ষে মো.শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আজিজুলসহ ১১জনকে বিবাদী করে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
২০১৮ সালের ৪ জুন পঞ্চবটি মোড়ে প্রকাশ্যে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় পুলিশ ধাওয়া করে লিটন, আল আমিন, হাসান হাওলাদার ও রাজুসহ ৪ জনকে আটক করে। এ সময় আজিজুল হকসহ ৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রশিদ ও চাঁদাবাজির দুই হাজার ৪৬০ টাকা জব্দ করেছেন। তারা ফতুল্লা ও পঞ্চবটির মোড়ে রিকশা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে আসছিল
এ ঘটনায় পুলিশের এএসআই তারেক আজিজ বাদী হয়ে আজিজুলসহ ৭ জন চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছিলেন।
এদিকে মালিক ও চালকদের দাবি রিকশা ও ইজিবাইকগুলো যেন ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে নেয়া হয়। এতে সরকার রাজস্ব পাবে এবং সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি কমে যাবে। একই সঙ্গে দরিদ্রশ্রেণির মানুষজন সন্ত্রাসীদের হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে।