সোনারগাঁ উপজেলায় স্ত্রী’র পরকিয়ার কারনে নিজের গলায় ফাঁস দিয়ে সোহেল (৩২) নামের এক শ্রমিক আত্মহত্যা করেছে। গত রোববার সকালে উপজেলার কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই তায়েফ হাসান বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ সোহেলের স্ত্রী লিপি আক্তারকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার হরিণাপাটি গ্রামের সোহেল তার স্ত্রী লিপি আক্তারকে নিয়ে কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকার মজিবরের বাড়িতে বাসা ভাড়া করে গার্মেন্টে কাজ করত। তার স্ত্রী লিপি আক্তার গার্মেন্টে কাজ করত।
সে সুবাদে লিপি আক্তার বিভিন্ন লোকের সাথে পরকিয়া জড়িয়ে পড়ে বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করতে থাকে। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগে থাকতো।
গত ২১ ডিসেম্বর রাতে পুনরায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী লিপি তার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। সোহেল অপমান সহ্য করতে না পেরে বাথ রুমের ভেন্টিলেটারের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই তায়েফ হাসান বাদি হয়ে নিহতের স্ত্রী লিপি আক্তারকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দয়ের করেছেন। লিপি আক্তার কুমিল্লা জেলার পাকদেওড়া গ্রামে ভাঙ্গুরা থানার হিরন মিয়ার মেয়ে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, সোহেলের আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় তার ছোট ভাই বাদি হয়ে মামলা করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত লিপিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।