দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লায় গ্রেফতারকৃত ভূয়া পুলিশের দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ফতুল্লা থানা পুলিশ ভূয়া পুলিশের ১০দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে তুললে রিমান্ড শুনানি শেষে বিচারক আসামীর দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে।
রিমান্ড প্রাপ্ত ভূয়া পুলিশ শাহিন ওরফে শামীম কুড়িগ্রাম জেলার অলিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা।
‘ভূয়া পুলিশ’ শাহিন ওরফে শামীমের রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালত শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য,শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে পুলিশের পোশাক পরিহিত ২ জন সহ মোট ৪ জন একটি প্রাইভেটকার সিগন্যাল দিয়ে দাড় করিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায় এবং গাড়ী চালক কাগজপত্র দেখালে কাগজ পত্র সঠিক নেই বলে গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ৪জন গাড়িতে উঠে বসে গাড়ী চালককে পিছনে বসিয়ে।
নিজেদের একজন গাড়ি চালিয়ে থানার দিকে না গিয়ে ঢাকার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে চালকের চিৎকারে ছিনতাইয়ের কবলে পড়া গাড়িটি ভূঁইগড় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানের পিছনে গিয়ে ধাক্কা লাগায়।এর ফলে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচরে যায়।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তিন ছিনতাইকারী দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও পুলিশের পোশাক পরা শাহিন ওরফে শামীমকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে ফতুল্লা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে তিনটি খেলনার পিস্তল, একটি বেতারযন্ত্র, একটি বেতারযন্ত্র নিয়ন্ত্রণযন্ত্র, ডিএমপি’র পুলিশ সার্জেন্টের জ্যাকেট উদ্বার করে।পুলিশ অধিকতর তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে তুললে আসামীর দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে।