দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকায় একটি বাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় স্ত্রী ফরিদার অবস্থা আশঙ্কাজনক
হলেও স্বামী শরীফ আশংকা মুক্ত বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) ভোর ৬টায় উপজেলার কায়েমপুর মুফতি নজরুল ইসলামের বাড়ির নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার কায়েমপুরের ওই বাড়িটির নিচ তলায় কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকেন আর উপরের দুই তলা, তিন তলা ও ছাদে টিনের ঘর তৈরি করে সেখানে জামিয়া দারুস সালাম নামে মাদরাসা দিয়েছেন বাড়ির মালিক মুফতি নজরুল ইসলাম।
এলাকাবাসী জানান, ভোরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে খোঁজ খবর নিতে চাইলেও বাড়ির ম্যানেজার আ. ওহাব মিয়া কাউকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।
এ সময় দগ্ধ ফরিদার চিৎকার শুনে ম্যানেজারের উপর ফুসে উঠলে সে বাড়ির গেট খুলে দেয়। তখন আশপাশের লোকজন গিয়ে স্বামী স্ত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩শ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
স্থানীয় লোকজন আরো জানান, যে ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে সে ঘরটিতেই গ্যাসের চুলা রয়েছে। ঘরে গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিলো জেনেও বাড়ির ম্যানেজার কোনো সমাধান করেনি।
তবে ম্যানেজার আ. ওহাব মিয়া জানান, সামান্য পুড়েছে। এটা নিয়ে স্থানীয় লোকজন হৈ চৈ করেছে। আমি হাসপাতালে যাচ্ছি তাদের খোঁজ খবর নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাবো।
এদিকে ঢাকা মেডিকেলের একটি সূত্র জানায়, ফরিদার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর শরীফের সামন্য দগ্ধ হয়েছে তাকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দ্বগ্ধ হওয়া স্বামী স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। খোঁজ নিচ্ছি কিভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।