দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, দুঃখ জনক হলেও সত্য বঙ্গবন্ধুর মত মহান নেতাকে স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় হত্যা করা হলো স্বপরিবারে। তাকে মারতে সেদিন আমেরিকা থেকে কোন সৈন্য সদস্য আসেনি।বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত খন্দকার মোস্তাক সেদিন পিছনের দরজা খুলে দিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য। রাজাকার যতটা না ভয়ংকর ছিলো তার থেকে বেশি ভয়ংকর মোস্তাক ছিলো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু উন্নয়ন দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় তিনি আরও বলেন, আজ আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শতবার্ষিকী পালন করছি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন আমরা কোথায় ছিলাম?
কেনো আমরা সেদিন জেগে উঠতে পারি নাই? কেনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আন্দোলন করতে পারে নাই? আমরা তখন প্রস্তুত ছিলাম না কারন আমরা সেদিন বিশ্বাস করতে পারিনি যার গায়ে পাকিস্তানের মানুষরা স্পর্শ করতে পারেনি। যার ফাঁসির মঞ্চ পর্যন্ত পাকিস্তানে তৈরি করে মারতে সাহস পায়নি।
ওরা শেখ মুজিবকে হত্যা করে নাই আমাদের স্বপ্নকে মেরে ফেলেছিলো।আমরা শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা বলি কিন্তু তাকেও তো ২০ বার মারতে চেয়েছি। আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের সাবধান হওয়া উচিত কারন আমরা ন্যায্য কথা বলতে পারি না অনেকেই। যে দেশে খন্দকার মোস্তাকের জন্ম হয়েছে সেদেশে আমার ভয় লাগে।
কারন এদেশে দুই শ্রেণির লোক আছে বিশ্বাস ঘাতক ও বিশ্বাসভাজন।বিশ্বাসভাজনরা অনেক নাটক করতে পারে তারা পিছন থেকে ছুড়ি মারে।আমাদের মাথার উপরে শকুনরা ঘুরছে।আরও একটি ১৫আগস্ট করার জন্য।কিন্তু সেই ১৫আগস্ট হবে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য।কারন ৯৬পর্যন্ত শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেত্রী ছিলেন কিন্তু এখন তিনি বাংলাদেশের নেত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃজসিম উদ্দিন বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা কীভাবে তৈরি হলো সেটা জানার জন্য ।
নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে কীভাবে খোকা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হলো?এর কারণ হচ্ছে আমরা বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন শীর্ষক ২০৪১ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করব।আপনাদেরও ভালোবাসতে হবে।আমার জাতীয় পতাকাকে কোনো ঘাতক জাতে খামছে ধরতে না পারে সেদিকে আমাদেরকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক বলেন,আমার বক্তব্য না আমার কাজ হচ্ছে আজকের অনুষ্ঠান সফল করার।বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানো এবং তাকে আমাদের হৃদয়ে ধারন করার জন্য।
ফতুল্লা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এম.এ মান্নানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর এ্যাড. শিরিন বেগম,
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সহ-সভাপতি চন্দন শীল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, জেলা সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতির এহসানুল হক নিপু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল,
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, ফতুল্লা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস উপ-পরিচালক আরেফিন সিদিক্কী, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দীন,
ফতুল্লা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম.শওকত আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি প্রমূখ।