দ্যা বাংলা এক্সপে্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর আকবরনগর গ্রামে আবারো ঘরে ও দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত সোমবার রাত ২ টায়।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,কে বা কারা রাত ২ টায় ইব্রাহীম মন্ডলের ভাগনী জামাই কাশেম এর দোকানে ও আলাল মিয়ার পুত্র আনারের বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনের শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানান,রহিম ও সামেদ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। মাস ৬ আগে সেই বিরোধের অবসান ঘটলে এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে। রহিম ও সামেদ আলীর প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম মন্ডলের সাথে ইটভাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইব্রাহীম মন্ডল এলাকা ছেড়ে কেরানীগঞ্জ চলে যায়।সেখানে গিয়ে আকবরনগরে অশান্তি মূলনায়ক কাশেম নেতার আশ্রয় নেয়।
এলাকাবাসী ও দুই হাজ্বীর লোকজন জানান,কেরানীগঞ্জের সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজ কাশেম নেতা তার প্রভাব আকবরনগরে বিস্তার করার জন্য ইব্রাহিম মন্ডলকে ব্যবহার করে ব্যর্থ হয়।তিনি দীর্ঘদিনের সহযোগী মোকতার তার ভূল বুঝতে পেরে কাশেম নেতাকে ত্যাগ করে।কাশেম আকবরনগরে তার প্রভাব বিস্তার করতে রহিম,সামেদ আলী ও মোকতারের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে নিজের লোকজন দিয়ে নিজেদের ঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করাচ্ছে।
এতে করে আকবরনগর আবারো অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। কেননা এর আগে কাশেম নেতার অনুসারী ইব্রাহীম মন্ডল নিজের স্ত্রী ও কর্মচারী দিয়ে রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করা কালে পুলিশের হাতে আটক হয়।মানবিক কারনে পুলিশ ইব্রাহীম মন্ডলের স্ত্রীকে ছেড়ে দিলেও কর্মচারীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার রাত ২ টায় আকবর নগরের উত্তর গোপালনগর প্রতাপনগরে কে বা কারা আনার ও কাশেমের ঘর ও দোকানে অগ্নিসযোগ করে।আকবরনগরকে আবারো অশান্ত করার নীলনকশা বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ইব্রাহিম মন্ডল মুঠোফোনে জানান, আমি দেড়মাস যাবত বাড়ি ছাড়া। যারা মামলা তুলে নিতে বলে তারাই আমরা ভাগিনা আনারের ঘরে ও ভাগনী জামাই কাশেমের দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছে।
রহিম হাজ্বী মুঠোফোনে জানান,ইব্রাহীম মন্ডল একটা খারাপের ঘরে খারাপ। ও চায় এলাকায় অশান্তি। এর আগে নিজের ঘরে নিজে আগুন দিয়েছিল। আজও নিজেদের ঘরে আগুন দিয়েছে।
সচেতন এলাকাবাসী ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।