দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ কথিত আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ভূইয়ার বিরুদ্ধে রেলওয়ের জমি দখল করে বাড়ি নির্মানের অভিযোগ স্থানীয় মিডিয়াতে প্রকাশিত পর এবার ছোটভাই মহসিন ভুইয়ার বিরুদ্ধে বেড়িয়ে আসছে মসজিদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।
চৌধুরী বাড়ি বাস ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন মসজিদের উন্নয়নের জন্য ঐ এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর,কে গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদ মোল্লা ৫ টন রড মসজিদের খাতে অনুদান দেন।
কিন্তু অর্থলোভী মসজিদ কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কথিত আওয়ামী লীগ নেতা মহাসিন ভূইয়া দানকৃত রডের অল্প কিছু মসজিদের আংশিক মেরামতের কাজে ব্যবহার করেন। বাকি রডগুলো মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.জসিম উদ্দিনের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেই রড দিয়েই জসিমউদ্দিন তার নিজ বাড়ীর দোতলা ভবন নির্মান করেন।
এছাড়াও, প্রায় ৪ বছর পুর্বে বর্তমান কমিটির ক্যাশিয়ার শামীমের কাছে মসজিদের ফান্ডের ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা সাবেক কমিটির সভাপতি ওহাব মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মৃত: নাজিম উদ্দিন মোল্লা বুঝিয়ে দেন। যা মসজিদের ফান্ডে জমা থাকার কথা।
পাশাপাশি প্রতি বছর মসজিদের সকল খরচ বাদেও বাৎসরিক আয় থাকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রায় ৪ বছরে মসজিদের ফান্ডে ১২ লাখ টাকা জমা থাকার কথা। অথচ বছর শেষে মসজিদের ফান্ড প্রায় শূন্য অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই সকল কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তাকে নানা কৌশলে এলাকা থেকে বিতারিত করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ উঠে আসছে।
এ বিষয় ক্যাশিয়ার শামীম জানান, আমি প্রায় দেড় বছর আগে সাধারণ সম্পাদকে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। এখন আর এই বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, মসজিদের উন্নয়নের জন্য আর,কে গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদ মোল্লা ৫ টন রড দিয়ে ছিলো। কাজ শেষে যে রড গুলো ছিলো কে বা কাহারা যেন সেই রড বিক্রি করে ফেলেছে।
এ বিষয় মসজিদ কমিটির সভাপতি মুন্না একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে তথ্য আপনাদের কাছে দেওয়া হয়েছে তা সম্পুন্য মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে হ্যা রড বিক্রি করেছি সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে তাই পুরান দামে ছেড়ে দিয়েছি। মসজিদের উন্নয়নের কাজ করাতে গিয়ে অনেক টাকা দোকানে বাকি পড়ে গিয়ে ছিলো। সেই টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।
তার কাছে অন্যান্য বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ভাই আমাদের এখানে এসে চা খেয়ে যান। আসলে সব তথ্য দিবো।