দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের সরলতার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে করছে প্রতারণা । তারা কোনো পন্যের উপর ডিসকাউন্ট দেওয়া থাকলে তা ক্যালকুলেটর দ্বারা হিসাব না করেই ক্রেতাদের কাছ থেকে নিচ্ছে নিজেদের ইচ্ছে মত পন্যের দাম । ফলে ক্রেতারা ঠকছে নিজেদের সরলতার অন্ধ বিশ্বাসের কারনে।
যদি কোনো পন্য বাংলাদেশে অন্য কোনো দেশ থেকে আমদানি করা হয় সেসব পন্যেও গায়েও দেখা যায়,বাংলাদেশী একটি আলাদা মূল্যের স্টিকার বসিয়ে নিচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য।
সরজমিনে দেখা যায়, ডিপো বাজার কালির বাজারে ক্রেতারা ভীড় জমায় স্বল্প এ পাইকারি মূল্যে পুণ্যের দাম পাবার আশায় কিন্তু সেখানেও ঠকছে নিজেদের অজান্তে নিজেরাই । ডিপো বাজারে ক্রেতা ফাতেমা বেগম বলেন,ডিপো বাজারে আমি প্রথমে একটি দোকানে যাই সেখানে দোকানদারের কাছে ব্লাক হিট নামের মশা মরার এরোসল স্প্রে চাই ।
যার মূল্য দোকারদার চান ২৭০ টাকা । আমি তখন এরোসলটি হাতে নিয়ে দেখি একপাশে ২৬% ছাড় পূর্বে মূল্য ছিল ৩০১টাকা। ছাড় দিয়ে লেখা আছে ২৭৫টাকা যা রয়েছে আলগা ভাবে। কিন্তু বোতলটির ওপর পাশে গায়ে ইন্ডিয়ান ছাড় দেওয়া হয়েছে ৩০% এবং দাম দেওয়া আছে ১৮২ রুপি।তখন আমি দোকানদারকে বললাম আমি এটা নিবো না এই বলে চলে গেলাম হোসাইন কনফেশনারি দোকানে।সে দোকানদার একই স্প্রে আমার কাছে চাইল ২৬০ টাকা ।
তখন আমি আলগা সিলের উপর ৩০১ টাকার মূল্য ২৬% দিয়ে দেখি ২২৩ টাকা। তখন আমি দোকানদারকে বললাম আপনি একটু ক্যালকুলেটারে হিসাব করে দেখেন ।তখন দোকানদার হিসাব করে নিজেও দেখেন ২২৩ টাকা। তারপর আমি স্প্রে কিনতে গেলাম আরেক দোকানে সে দোকান থেকেও কোনো ক্যালকুলেটার দ্বারা হিসাব ছাড়াই আমার কাছ থেকে নিলো ২২০ টাকা।
এ বিষয়টি নিয়ে আমি নিজ্ওে খুব অবাক হলাম আমরা সব সময় দোকাদারদের কথা উপর বিশ্বাস করেই কোনো হিসাব না করেই বিভিন্ন পন্য সামগ্রী ক্রয় করে নিয়ে যাই ।