দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও গ্রাস করে নিচ্ছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যে এই ভাইরাস সারা প্রায় ১০ হাজার লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। সরকারী হিসেব মতে বাংলাদেশেও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে ২ ব্যক্তির। তাই নিজেদেরকে এই ভাইরাস থেকে রক্ষার্থে নারায়ণগঞ্জে প্রতিটি পরিবারই নিচ্ছেন নানা ব্যবস্থা। তাই এই ভাইরাস থেকে রক্ষার্থে নারায়ণগঞ্জে জীবানু নাশক ঔষধের চাহিদা বেড়েছে ব্যপক হারে।
হেক্সিসল জীবাণুমুক্ত থাকার জন্য বর্তমানে দেশের অন্যান্য জায়গার মত ব্যাপক চাহিদা রয়েছে নারায়নগঞ্জে। কোরোনা ভাইরাসের মত শক্তিশালী ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য হেক্সিসল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু স্থানীয় ভাবে এই হেক্সিসলের অভাব দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাবে। তাছাড়া ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকায় হু হু করে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে হেক্সিসল এর। তবুও যেন এটা হাতে পাওয়া বেশ কষ্ট কর হয়ে উঠেছে।
এ বিষয় হেক্সিসল ক্রেতা শারমিন সুলতানা বলেন, আমার বাড়ি ফতুল্লা এনায়েতনগর। আমি আমার এলাকায় ঔষধ বিক্রির প্রতিটি ফার্মেসিতে হেক্সিসল কেনার জন্য খুঁজে ছিলাম কিন্তু আমি আমার এলাকায় খোঁজ করে একটি ছোট হেক্সসলও খুজে পাইনি।
আমি ভেবেছিলাম কালির বাজারে হেক্সিসল কেনার জন্য অনেক ফার্মেসি আছে সেখানে অবশ্যই পাবে। কিন্তু এখানেও পেলাম না। হেক্সিসল না পেয়ে এখন সেভলন কিনে নিচ্ছি।
এ বিষয় কালির বাজারে ফার্মেসি ঔষধ বিক্রেতা মো.জনি বলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জে ফার্মেসিতে আজ প্রায় ১৫দিন ধরে নতুন কোনো হেক্সিসল বিক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করতে পাচ্ছি না। হেক্সিসল বড় বড় ঔষধ কম্পানিগুলো সরাসরি হেক্সিসল কারখানা থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে ও সেই সাথে সরকারি হাসপাতালের জন্যও সেখান থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
ফলে কোনো বিক্রেতা আমাদের কাছে হেক্সিসল চাইলে আমরা তার কাছে তা ক্রয় করতে পাচ্ছি না। হেক্সিসল না পেয়ে সেভলন ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। তবে হেক্সিসল জীবাণুমুক্ত করার জন্য সেভলন থেকে অতিদ্রুত ও ভালো কাজ করা করে থাকে। কিন্তু সেটা এখন ক্রেতাদের বা আমাদের হাতে পাওয়া দুর্বিসহ হয়ে পরেছে। পাশাপাশি সেভলনের চাহিদা বৃদ্ধি হওয়ায় সেটাও পরিমান মত আমরা পাচ্ছি না।