দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে কলাগাছিয়ায় নরপদী এলাকায় মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠার ঘটনায় মামলার তিনদিন অতিবাহিত হতে চললেও রহস্যজনক কারণে আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
এদিকে, আহত স্বজনদের দাবী মামলার আসামী সাদ্দাম ও আক্তার এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও তাদেরকে রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করছে না বন্দর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় (২০ মার্চ) শুক্রবার রাতেই আহত দিনমজুর আহাদ আলী বাদী হয়ে চাঁদাবাজ সাদ্দাম, আক্তার সিজান ও মিশুসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩৪(৩)২০।
সূত্রে জানা যায়, বন্দর উপজেলার নরপদী এলাকার আলী নুর মিয়ার ছেলে আহাদ আলী মিয়ার সাথে একই এলাকার জিয়াবুল ও তার ছেলে সাদ্দামসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে র্দীঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে আহাদ আলী মিয়ার শ্যালক আব্দুস সাত্তার মিয়া তার নিজস্ব জমি ভরাট করার জন্য ভেকু দিয়ে কাজ করছিল।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১৬ র্মাচ সন্ত্রাসী সাদ্দাম তার পিতা জিয়াবল একই এলাকার মৃত কালা চাঁন মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন, মৃত নূর হক মিয়ার ছেলে এলার হোসেন তার ছেলে সিজান ও জিয়াবল মিয়ার অপর ছেলে মিশু জমি ভরাট ও পাড় করা বাবদ ২ লাখ টাকা দাবি করে। ওই সময় জমি মালিক অস্বীকৃতি জানালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বির্তক হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে ২০ মার্চ (শুক্রবার) দুপুরে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আহাদ আলী বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা ব্যাপক তা-বলীলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও ৪ ভরি স্বার্ণালংকার ছিনেয়ে নেয়। ওই সময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহাদ আলী (৫২) তার স্ত্রী জায়েদা বেগম (৪০) ছেলে প্রান্ত (১৮) মেয়ে সালামা বেগম (৩০) মারাত্মকভাবে জখম হন। আহতদের স্থানীয় এলাকায় জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মামলার আসামী সাদ্দাম ও আক্তার এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও তাদেরকে রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করছে না পুলিশ এ বিষয় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আসামীরা যদি এলাকায় থাকে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।