দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীকে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় আজ সোমবার সকালে অভিযুক্ত আসামী মোঃ রিয়েল মোল্লা, ফয়সাল, সালাউদ্দিন ও ফারুক নারায়নগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ‘ঘ’ অঞ্চলে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন খন্দকার মামলার গুনাগুন বিবেচনা করে এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া মামলাটি আপোষ মিমাংশার প্রতিশ্রুতি দিলে আদালত জামিনের আবেদনটি ফেরত দিয়েছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামীদের আপোষ-মিমাংশা করে পুনরায় জামিন আবেদন করতে বলেন। তবে, প্রকাশ্যে ঘুরাফিরা করলেও এখনো পর্যন্ত আসামীদের গ্রেফতার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলায় জামপুর ইউনিয়নের পেরাবো এলাকায় পুকুরের মাটি ইট ভাটায় বিক্রি না করায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর উপর হামলা ও গুলি বর্ষন করেছে কথিত ছাত্রলীগ নামধারীরা। ঘটনাটি ঘটেছিলো চলতি মাসের ৭ তারিখ শনিবার দুপুরে পেরাব এলাকায় । এ ঘটনায় আইনজীবী বাদী হয়ে ওই রাতে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রে ও সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সোনারগাঁও থানায় করা আইনজীবীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাব এলাকায় সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার মোহাম্মদ মিকাইল তার ১২ বিঘা পুকুরে র্দীঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। আরো অধিক পরিমানে মাছ চাষের জন্য নিজ পুকুর খনন কাজ শুরু করেন।
চলতি মাসের ৭ তারিখ শনিবার দুপুরে জামপুর ইউনিয়নের পেরাব এলাকার কথিত ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রিয়েল মোল্লা, ফয়সাল, সালাউদ্দিন, ফারুক ও মোহাম্মদ আলীসহ ৮-১০ জনের একটি দল পুকুরের মাটি খনন কাজে বাধা দিয়ে ওই পুকুরের মাটি জোড়পূর্বক ইট ভাটায় নেওয়ার চেষ্টা করে।
এতে আইনজীবি বাঁধা দিলে কথিত ছাত্রলীগ নেতারা মাটির বদলে আইনজীবীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় কথিত ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রিয়েল মোল্লা, ফয়সাল আইনজীবীকে মারধর করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আইনজীবীকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলিবর্ষন করে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই আইনজীবী বাদী হয়ে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার মোহাম্মদ মিকাঈল বলেন, আমি অভিযোগ দিলে মামলা নিতে তালবাহানা করে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সোনারগাঁও থানা পুলিশ মামলা নিলেও এজহারে অনেক কাটছাট করা হয়। তবে, মামলা হওয়ার পর পুলিশ অদ্যবদি একজন আসামীকে গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারে নি।
আসামীরা আজ বিজ্ঞ আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত মামলার গুনাগুন বিবেচনায় এবং আসামী পক্ষের আইনজীবীর আপোষ-মিমাংশার প্রতিশ্রুতিতে আসামীদের জামিন না নিয়ে জামিন আবেদনটি ফেরত দেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, আসামীরা আজ জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আসামী পক্ষের আইনজীবী মামলাটি মিমাংশার প্রতিশ্রুতি দিলে বিজ্ঞ আদালত মামলার গুনাগুন বিবেচনা করে জামিন আবেদনটি ফেরত দেন এবং মিমাংশার পরে জামিন আবেদন করতে বলেন।