দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ বাংলাদেশের মোট ৫টি জেলাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষনা করেছে আইইডিসিআর। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে ৩৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এবং ৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এর মধ্যে নারায়নগঞ্জ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ১২ জন নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে এবং ২ জন মারা গেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
সোমবার (৬এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নীচে নারায়ণগঞ্জ জেলার করোনা ভাইরাস নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সরকারি ত্রান বিতরন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রতিদিনের সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দীন।
জেলা প্রশাসক জানান,গত ২৪ ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জ জেলায় নতুন করে ১২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে এবং ২জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এই নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় মোট ২৩ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে এবং মোট ৩জন মারা গেছে।
এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা থেকে অধিকাংশ করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।তাই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বেশ কিছু জায়গায় যেমন কাশিপুর, বাবুরাইল, পাইকপাড়া, বেলি টাওয়ার, ফতুল্লা লামাপাড়া সহ বন্দরের রসুলপুর লকডাউন করা হয়েছে।
এছাড়া গতকাল রাতে জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ মিটিং অনুযায়ী আজ থেকে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও নারায়নগঞ্জ বদে উপজেলায় সকল যানবাহন চলাচল ও বাহির জেলা থেকে সাধারণ জনগণ আসা নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলায় জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে সামাজিক দুরত্ব নিয়ন্ত্রনে ও বাজার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে জনসচেতনতামূলক ২৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ১৭টি মামলায় ৫৬,২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল সদর উপজেলার ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়ায় একজন করোনা রোগী পাওয়া গেয়েছে তাই সেখানে ২০৮টি পরিবার লকডাউন করা হয়েছে।বাড়িতে মোট কোয়ারেন্টাইনে ৬০৭ জনের মধ্যে ৩৬জন নতুন যুক্ত হয়েছে।কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছে ৪৫০ জন। ১মার্চ থেকে বিদেশ ফেরত মোট ৬০২১ জন প্রত্যাগত থেকে তাদের ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত প্রত্যাগত ব্যক্তি ১২৫৯ জন।
করোনা ভাইরাসের জন্য সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ৬টি,কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড ৩০টি,ডাক্তারের সংখ্যা ৯০ জন,নার্সের সংখ্যা ১৭৩ জন।এম্বুল্যান্সের সংখ্যা ৬টি।বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ৭২টি, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড ৭২টি,ডাক্তারের সংখ্যা ১০০জন,নার্সের সংখ্যা ১৮০জন।ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী(পিপিই) বিতরন করা হয়েছে ৬৮০টি মজুদ রয়েছে ১০২৮টি।নারায়নগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ সদস্য ৩৫০টি গাউন নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জনকে সরবরাহ করেছে।
এ সময় তিনি ত্রান সম্পর্কে বলেন,৫এপ্রিল পর্যন্ত দূর্যোগ ব্যব¯’াপনা অধিদপ্তর থেকে ৬০০মেট্রিক টন চাল ও ২৭ লাখ টাকা নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সহ উপজেলা পর্যায়ে বিতরনের জন্য উপ বরাদ্দ প্রেরন করা হয়েছে এবং আমাদের লক্ষ্য মাত্রা ৬০ হাজার পরিবারে বিতরনের কাজ চলমান রয়েছে।বেসরকারিভাবে মানবিক সহায়তার জন্য নগদ ২১ লাখ টাকা ও ৩৩৭৭ প্যাকেটের মধ্যে ১৫৭৩ প্যাকেট ইতোমধ্যে বিতরন করা হয়েছে।