দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জ্বর ও ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নগরীর দেওভোগ এলাকায় খাইরুল আলম হিরো (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর করোনা আতংকে মৃত ব্যক্তির পরিবার ও এলাকাবাসী তার লাস ধরতে না আসায় বাহিরেই পরে থাকতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) ভোরে শহরের দেওভোগ কৃষ্ণচূড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয় কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশনের সহযোগীতায় তার দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শহরের দেওভোগ কৃষ্ণচূড়া এলাকার বাসিন্দা খাইরুল আলম হিরো মূলত সঙ্গীত জগতে ‘হিরো লিসান’ নামে পরিচিত। তিনি বেস গিটারিস্ট। সেই সঙ্গে ঝুটের ব্যবসাও করতেন। গত ৭-৮ দিন আগে তিনি প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিলেন। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টও ছিল। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে শহরের দেওভোগের বাসায় আনা হয়।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) ভোরে তার মৃত্যু হয়। পরে বাসা থেকে তার মরদেহ একটি অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজনের বাধায় মরদেহ ফেলে রেখেই চলে যান চালক। এ সময় পরিবারের লোকজনও মরদেহ ধরতে আসেননি। ফলে মরদেহ পড়ে থাকে বাড়ির গেটের ভেতরেই।
এদিকে সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফরোজা আফরোজ বিভা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তফা আলী শেখ ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ স্বজনদের কাছে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে তার পরিবার ও বাড়ির সবাইকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজ বিভা হাসান বলেন, খাইরুল আলম হিরোর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি সে অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিল। করোনা সন্দেহ এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ হতে খাইরুল আলম হিরোর মরদেহ দাফন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর পরিবারের সবাইকে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি হলে আমাদের জানাতে বলা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (আইসিপি) তরিকুল ইসলাম সুজন জানান, খাইরুল আলম হিরোর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তার মরদেহ দাফনের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন উদ্দ্যোগ নিয়েছে।