দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ মহামারি করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিকে এড়িয়ে লকডাউনের নিয়ম ভেঙ্গে লোক সমাগম নিয়ে বিয়ের আসরে বসলেন সরকারি কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সোনারগাঁ পৌরসভার গোচাইট গ্রামে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোচাইট গ্রামের পিয়ার হোসেনের ছেলে পৌরসভার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহীন কবির মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সনমান্দি গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে নাদিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। তার বরযাত্রায় অংশ নেন ৭০ জন।
বিয়ে বাড়িতে ধুমধাম করে খাওয়া-দাওয়া সেরে কাজি ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে করোনাভাইরাসের এ সময় বিয়ের আয়োজন করায় বরপক্ষকে অপদস্থ করেন। একপর্যায়ে শাহীন কবির ও তার সঙ্গে অতিথি হয়ে আসা বরযাত্রীরা কনে নাদিয়া আক্তারকে রেখে দ্রুত এলাকা ছাড়েন।
এ ব্যাপারে শাহীন কবির বলেন, ছোট পরিসরে আমি বিয়ের আয়োজন করেছি। বৌভাতের আয়োজন বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি ভালো হলে বউভাতের আয়োজন করব।
এদিকে সরকারি কর্মকর্তা শাহীন কবিরের বিয়ের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে শাহীন কবিরের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন। ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে শাহীন কবির বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে ইউএনও ওই বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাহীন কবিরের ছোট ভাই সোহেল মিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ইউএনও সাইদুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের মধ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তা যেভাবে অন্যায় করে বিয়ে করেছেন, তা কল্পনা করা যায় না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লকডাউন তোয়াক্কা না করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ৭০ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসেন শাহীন কবির। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে সমলোচনার সৃষ্টি হয়।