দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় রাস্তায় নেমে পড়েছে। সদর উপজেলার ফতুল্লা, কুতুবপুর ও কাশিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে গত দুই দিনে এই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব লামাপাড়ায় ২শ ৮ পরিবারকে লকডাউন করার পর সরকারী কোন সহযোগীতা না পাওয়ায় তারা রাস্তায় নেমে আসার হুমকী দেন ঐ এলাকার বাসিন্দারা। পরে সন্ধ্যায় তাদের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঠিক একই কায়দায় খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে ফতুল্লা ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের লোকজন ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ নিয়ে ফতুল্লা থানার সামনে অবস্থান নেন।
পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফতুল্লার চৌধুরী বাড়িস্থ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। প্রায় এক ঘণ্টা চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
ঠিক একই দিন কাশিপুর ইউনিয়নের ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা খা্যে সামগ্রী না পেয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। তারা দাবি করে বলেন সরকারী নির্দেশ মোতাবেক আমরা লকডাউন মেনে এতো দিন বাসায় ছিলাম। সরকার ঘোষণা দিয়েছে ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিবে। অথচ আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের খোজ নিতে চেয়ারম্যানতো ধুরের কথা মেম্বারেরও খবর নাই। এই ভাবে চলতে থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগেই না খেয়েই মরে যাবো।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, খাদ্যের অভাবে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। আমরা খবর নিচ্ছি, কোথায় খাদ্যের অভাব রয়েছে। তা খুঁজে বের করে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।