দ্যা সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে নিয়ে স্থানীয় মিডিয়াতে যে বিভ্রান্ত মূলক তথ্য ছড়াচ্ছে, এবার সে বিষয় সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউছার আশা বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মত নোংরা রাজনীতি থেকে আমাদের সড়ে আশা উচিৎ।
রাজনীতির নামে আমরা অপ-প্রচারে যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তি মূলক তথ্য মিডিয়াকে দিয়ে ভুল সংবাদ প্রকাশ করাতে যে মেধা ও সময় ব্যয় করছি। আমি মনে করি সেটা অসহায় মানুষের জন্য ব্যয় করা উচিৎ।
বিএনপি একটি বৃহত দল আর ঢাকার পাশ্বর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জে এর সমর্থক অনেক বেশি। আর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নাসিক ২৭টি ওয়ার্ড ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। তার মানে মহানগর বিএনপিতে মোট ৮০টি ওয়ার্ড রয়েছে। আর এই ৮০টি ওয়ার্ডে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন সহ মোট ১৩ সংগঠন রয়েছে।
প্রায় প্রতিটি সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা সচল এবং দলের জন্য কাজ করে। সেখানে নেতা ও কর্মী মিলে মোট কতজন হতে পারে সেটা আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নজরুল ইসলাম আাজাদের পক্ষ থেকে ১ লাখ নেতাকর্মীদের জন্য প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। আর সেখান থেকেই আমি বিষয়টি জেনেছি। আমি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ভাইকে ধন্যবাদ জানাই দেশের দুঃসময়ে দলের নেতা ও কর্মীদের জন্য তার ভালবাসা দেখে।
তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে ৮০টি ওয়ার্ডের ১৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য কিছু ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সেই অর্থ সঠিক ভাবে বন্টন করেছেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটি এম কামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। অথচ কিছু সুবিদাবাদী সুযোগ সন্ধানী রাজনীতিবিদ এর অপ-ব্যাখ্যা করে স্থানীয় মিডিয়াতে বিভ্রান্তী মূলক তথ্য ছড়াচ্ছে। যা আমাদের দলের জন্য খুবই লজ্জাজনক অবস্থার সৃষ্টি করছে তারা।
অথচ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সব কিছু পরিষ্কার করে দিয়েছেন। সেই সাথে যাদের হাতে এক লাখ টাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে তাদের নামও দেয়া আছে। তার পরেও কেন এতো অপ-প্রচার সেই প্রশ্ন রাখলাম আমি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে।
সেই সাথে আপনাদের কাছে আমার আরও একটা প্রশ্ন মাত্র এক লাখ টাকা নিয়ে যে নোংরা রাজনীতিতে মেতেছে কিছু সুযোগ সন্ধানীরা। তাদেরকে বলুন বিগত সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে দলের টিকিট পেয়ে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকায় নেতাকর্মীদের সাথে বৈঈমানীর অভিযোগ উঠেছে। যা আমরা স্থানীয় মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেড়েছি। সেই অর্থ কোথায় ?
দেশের এই দুঃসময়ে দলের নেতাকর্মীদের জন্য সেখান থেকে কিছু বের করুন, তাদের সহযোগীতা করুন। কারন যারা অপ-প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন তারা কখনই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের সৈনিক হতে পারে না। তাই আমি আহবান করবো অপ-প্রচার বন্ধ করুন নতুবা দলের নেতা ও কর্মীরা ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার হিসেবে চাইবে। তখন আর কিছু করার থাকবে না।