দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে মানহীন মশার কয়েল উৎপাদন, বিপনন ও মজুদের অভিযোগে পাঁচটি কয়েল কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এসময় বিপুল পরিমান কয়েল জব্দসহ পাঁচ অবৈধ কারখানার ম্যানেজারকে আটক করে তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে সাজা প্রদান করে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
পরে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ গুলো বিচ্ছিন্নসহ কারখানাগুলো সিলগালা করে দেন নির্বাহি ম্যাজিষ্টেট। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোকুলদাসের বাগ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১১’র সিনিয়র সহকারি পরিচালক জসীম উদ্দিন, সহকারি পরিচালক নাজমুল আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
র্যাব জানায়, উপজেলার গোকুলদাসের বাগ এলাকায় বিএসটিআইসহ সরকারের কোন দফতরের অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সাব্বির ক্যামিক্যাল, বিথি এন্টারপ্রাইজ, সেবা কর্পোরেশন, শারমিন ক্যামিক্যাল কোম্পানীসহ পাচঁটি অবৈধ মশার কয়েল কারখানা পরিচালিত হচ্ছে। এসব কারখানায় নিম্নমানের ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর কয়েল উৎপাদন করে ব্যাপকভাবে বাজারজাতও করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে এই সংবাদ পেয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত কারখানাগুলোতে অভিযান চালায়। এসময় অবৈধ কারখানাগুলোর পাঁচ ম্যানেজারকে আটক করে সাজা প্রদান করা হয়। পরে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডেকে এনে প্রতিটি কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অবৈধ কারখানাগুলো সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট।
র্যাব আরো জানায়, এই অবৈধ কারখানাগুলোতে উৎপাদিত ভেজাল মশার কয়েল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুইবই ক্ষতিকর। এছাড়া প্রতিটি কারাখানায় প্রতি মাসে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে পোড়ানো হয়। যার কারনে এলাকায় গ্যাস সংকট সৃষ্টিসহ সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।