দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকায় পিতার ছুরিকাঘাতে ছেলের পর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও ছেলেকে কুপিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হারেছ (৪৫) নামে এক রিকশাচালক। ঘটনার পরপরই মৃত্যু হয় ছেলে সোহাগের (১৫)। এদিকে হারেছ ও তার স্ত্রী মনোয়ারা (৩৫) গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেশায় রিকশাচালক হারেছ তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকার শাহ্ আলম মিয়ার মালিকানাধীন টিন শেড বাড়ির একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন। স্ত্রী ও ছেলে হোসিয়ারি শ্রমিক এবং মেয়ে বিথি (১২) পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে।
রাত আড়াইটার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ছেলে ও স্ত্রীকে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করেন হারেছ। পরে নিজের শরীরে নিজে ছুরিকাঘাত করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে রিকশাচালক হারেছ স্ত্রী ও ছেলেকে ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে নিজেও নিজেকে ছুরি দিয়ে আহত করেন। ওই রিকশাচালক নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকেই উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে স্বামী ও স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছেলের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টায় মারা যান মা মনোয়ারা। ঘাতক হারেছের অবস্থায়ও গুরুতর।