নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো: শহীদ বাদল বলেন, একটা সময় ছিলো মেয়েরা রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে ছেলেরা চেয়ে থাকলে পঞ্চায়েত কমটির মাধ্যমে তাদের কঠোর বিচার হতো। কেউ অন্যায় করলে রাস্তায় ধরে ব্যথাঘাত করা হতো।মুরুব্বিরা আসলে ছেলেরা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতো।কিন্তু বর্তমান ছেলেরা বুক টান করে রাস্তা দিয়ে হেটে যায়। তাদের অন্যায়ের বিচার হয় না বলেই অপরাধ করতে সাহস পায়। এলাকার পঞ্চায়েত কমিটিকে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে।
রবিবার (১৪জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দর থানাধদীন কলাগাজিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী ঈদগাহ ময়দানে ‘মাদক মুক্ত দেশ গড়ি,সমাজ উন্নয়নের সহায়তা করি’এই স্লোগানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্দর থানা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কমান্ডারের সভাপতি মোঃ জুলহাস সরকারের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃসানাউল্লাহ সানু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা, মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃকাজিম উদ্দিন প্রধান, নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য হাজী আমজাদ হোসেন, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ফয়সাল আহম্মেদ সাগর, কলাগাজিয়া ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃমোসলেহ উদ্দিন, মোঃতোফাজ্জল হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আজ মাদক যুব সমাজকে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। যুব সমাজকে এর গ্রাস থেকে মুক্ত করতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। প্রয়োজনে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকা শুরু হবে যেখানে একাধিক ছেলেরা থাকবে খবর নিবেন দেখবেন তারা কি করে।
তিনি আরো বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন ও মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেন। আজকে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি,মাদক, ধর্ষন ও ইভটিজিং বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেন।
যেকোন সমস্যায় বন্দর থানার ওসির কাছ থেকে সাহায্য নিবেন। পঞ্চায়েতর মাধ্যমে মাদকসেবীদের উচ্ছেদ করতে হবে। দরকার পড়লে মসজিদ, হিন্দুদের মন্দির, পেগঠার মাধ্যমে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে মাদক উচ্ছেদ অভিযানে নামবেন। এলাকায় ছেলে মেয়েরা যেখানে সেখানে ঘুরাঘুরি চলবে না এলাকা নষ্ট করতে দিবেন না।