দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লায় যুবলীগ ক্যাডার ইউসুফের বিরুদ্ধে এবার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শারমিনকে মারধর করে টেলিভিশন, সেলােই মেশিন ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। এঘটনায় শারমিনের মা বাদী হয়ে ১৪ জুলাই ফতুল্লা মডেল থানায় ইউসুফ , জাকিরসহ দুই জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ইউসুফ যুবলীগের কর্মী এবং স্টেশন এলাকার নুরু ঘটকের ছেলে।
মিনারা বেগম জানান, ইউসুফ ১৬ জানুয়ারী আমার মেয়ে শারমিনকেকে জোর পূর্বক নিয়ে বিবাহ করে। পরে জানতে পারি এর আগেও সে একটি বিয়ে করেছে এবং সে নারী পাচার দলের সদস্য পরে আমার মেয়েকে তার কাছে থেকে তালাক নিয়ে আসি । এরপর থেকে ইউসুফ জোড় পূর্বক আমার মেয়ের সাথে অনৈতিক কাজ করতে গেলে আমার মেয়েসহ আমরা বাধা প্রধান করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েসহ সবাই মারধর করে এবং এলাকা ছেড়ে যেতে হুমকি দেয়। পরে দলবল নিয়ে ঘরে থাকা নগদ টাকা মোবাইল,টেলিভিশন,সেলাই মেশিন নিয়ে যায়।
এর আগেও, মুসলিম নগর নয়াবাজার এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী মিলন গত বছর ১২ মে ট্রেনে করে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফতুল্লা স্টেশন আসলে যুবলীগ ক্যাডার ইউসুফ, সানি, রুবেল,জুয়েলসহ ৪/৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ব্যবসায়ী মিলনকে অস্ত্রেও মুখে আটকের মারধর করে তার সাথে থাকা নগদ টাকা এবং স্বর্ণের আংটি রেখে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মিলন ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সন্ত্রাসী ইউসুফকে স্টেশণের ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজীর সময় আটক করে নিয়ে আসে। এঘটনা মামলা হলে কিছু দিন কারাভোগের পর জামিনে এসে ফের এলাকায় উৎপাত শুরু করে।
উল্লেখ্য, ফতুল্লা রেল স্টেশন এলাকার ফুটপাত দখল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অফিসে বসে যুবলীগ,স্বেচ্ছা সেবক লীগের নেতারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে আসছে। আর এই চাঁদা আদায় করে সন্ত্রাসী ইউসুফ।